অনলাইনের মাধ্যমে ফেসবুক গ্রুপ থেকে খুঁজে অনেকেই গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে এ সব গৃহকর্মী নিয়ে বিপদে পড়েন অনেক বাড়ির মালিক। তারা সুযোগ বুঝে বাসা থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি করে পালিয়ে যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। রামপুরা থানায় এমনই একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার লাকসামে অভিযান চালিয়ে চোরাই স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ এক গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) রমনা বিভাগ। গ্র্রেফতার গৃহকর্মীর নাম মোছা. নূপুর আক্তার। এ সময় তার কাছ থেকে একটি স্বর্ণের চুড়ি, একটি স্বর্ণের চেইন, একটি স্বর্ণের আংটি ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, অনলাইন থেকে ১৯ জুলাই ১০ হাজার টাকা বেতনে রমনার একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ পান নূপুর আক্তার। নিয়োগের চারদিন পর ২৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে ওই বাসা থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় একজন মূলহোতা রয়েছে বলে জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি রাজধানীতে একটি চক্র অনলাইনে গৃহকর্মী সাপ্লাই দেয়ার কথা বলে বাসা-বাড়িতে চুরি করছে। গৃহকর্মী নিয়োগের আগে তার সঠিক নাম-পরিচয় নিয়ে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, এই ধরনের চুরি ডাকাতির ঘটনায় আমাদের আসামিদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারে বেগ পেতে হয়। কারণ ডিএমপির তথ্য ভান্ডারে বা ভাড়াটিয়া তথ্য ভান্ডারে এধরনের গৃহকর্মীদের তথ্য সংযুক্ত থাকে না। তবে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গৃহকর্মী নূপুরকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হই। ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কাজের বুয়ার সন্ধান ও নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।
এক্ষেত্রে কী পরিমাণ চুরি বা ডাকাতির তথ্য ডিএমপি পাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী বা দারোয়ান নিয়োগ দিলে নিকটস্থ থানা পুলিশকে জানান। ভাড়াটিয়া তথ্য ভান্ডারে তাদের ছবি, পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য সংযুক্ত করুন। তাহলে যেকোনো অপরাধে তাদের দ্রুত আটক করা সম্ভব। এঘটনায় জড়িত নূপুর আরও দুটি চুরির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। জড়িত মূল ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে পুরো চক্র সম্পর্কে জানা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন