বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহ দিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সম্প্রসারণমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সপ্তাহেই নতুন এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাকালীন অর্থনীতিকে চাঙা করতে সম্প্রসারণমুখী মুদ্রানীতি দিতে হবে, যাতে টাকার অভাবে কোনো অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আটকে না থাকে; ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়ে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বেসরকারি ঋণ উৎসাহিত করতে ১৪ শতাংশের ওপর এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে। সেই সঙ্গে ব্যাপক মুদ্রার জোগানও ১৫ শতাংশের মধ্যে রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বেসরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্য ধরা হয় ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। গত মে পর্যন্ত বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা স্মরণকালের সর্বনিম্ন।
করোনার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড জোরালো না হওয়াই এর কারণ। জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাঙ্ক্ষিত জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাজারে মুদ্রা ও ঋণ সরবরাহ সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা দিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবছর মুদ্রানীতি প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত নেওয়া হয়। তবে করোনার কারণে এবারও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনাসভার আয়োজন না করে মেইলে মতামত নেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সর্বসাধারণের মতামত নেওয়া হয়। গত ১০ জুলাই ছিল মতামত দেয়ার শেষ দিন। জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এবারও আনুষ্ঠানিকভাবে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা থেকে বিরত থাকছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর পরিবর্তে আগেরবারের মতোই মুদ্রানীতির ঘোষণাপত্র ও গভর্নরের বক্তব্য প্রেস রিলিজ আকারে সাংবাদিকদের কাছে মেইলে পাঠানো হবে। নতুন মুদ্রানীতি কবে ঘোষণা হতে পারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান জানান, আগামী বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। তবে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ এখনো আমরা অনেক তথ্য পাইনি। এগুলো আসতে সময় লাগছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন