শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

ইতিহাসের পথে এক শরণার্থী অ্যাথলেট!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

তারা শরণার্থী। গোটা পৃথিবীই জানে তাদের এই পরিচয়। তাদের কোনো দেশ নেই। দেশ-পরিচয়হীন কিছু মানুষই শরণার্থী নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) যাদেরকে স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করেছে। অলিম্পিকই তাদের দেশ, তাদের পরিচয়। অলিম্পিক দল হিসেবেই তারা এবার অংশ নিয়েছে টোকিও অলিম্পিক গেমসে। অলিম্পিকের গত আসরের মত এবারো টোকিও গেমসে এমন একটি দল গঠন করা হয়েছে। যে দলের হয়ে নানা দেশের শরণার্থীরা বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে অংশ নিচ্ছেন। আর সেই দলের হয়েই ইরানের বাসিন্দা এক শরণার্থী আলিজাদে ইতিহাস গড়ার পথে রয়েছেন। আর মাত্র একটি জয় পেলেই শরণার্থী দল অলিম্পিক ইতিহাসে তাদের প্রথম পদক অর্জন করে ইতিহাস গড়বে। সেই ইতিহাস গড়া হতে পারে টোকিওতে তায়কোয়ান্ডো ডিসিপ্লিনের এক শরণার্থী প্রতিযোগীর হাত ধরে।
তায়কোয়ান্ডোর টানা তিন ম্যাচে জয় পেয়েছেন ইরানের শরণার্থী কিমিয়া আলিজাদে। টোকিওতে গতকাল সবচেয়ে বড় অঘটনটি ঘটিয়েছেন তিনিই। শেষ ষোলর লড়াইয়ে দুইবারের অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী ব্রিটিশ প্রতিযোগি জেড জোন্সকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি। আলিজাদে ১৬-১২ পয়েন্টের ব্যবধানে হারান জোন্সকে। তায়কোয়ান্ডোর কোয়ার্টার ফাইনালে ৯-৮ পয়েন্টে চীনের ঝু লিজুনকে হারিয়েছেন আলিজাদে। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে জয়সূচক পয়েন্টটি পান তিনি। এর আগে আলিজাদে ইরানি প্রতিপক্ষ নাহিদ কিয়ানি চানদেকে ১৮-৯ পয়েন্টে হারিয়েছিলেন। আলিজাদের ফর্ম বলে দিচ্ছে তার হাত ধরেই শরণার্থী অলিম্পিক দল প্রথম পদকের দেখা পেতে পারে।
২৩ বছর বয়সী আলিজাদে ২০১৬ রিও অলিম্পিকেই ইতিহাস গড়েন। প্রথম ইরানি নারী খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিক পদক জেতেন তিনি রিওতে। ওই আসরে তিনি আলিজাদে ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন। এরপরই তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তিনি পালিয়ে আসেন জার্মানিতে। সেখানে অনুশীলন থেমে থাকেনি তার। নিবিড় অনুশীলন করে নিজেকে প্রস্তুত করেন টোকিও অলিম্পিকের জন্য। শেষ পর্যন্ত শরণার্থী দলের হয়েই লড়াইয়ে নামেন টোকিও গেমসে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন