চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো একজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে তারা বলছেন, প্রাথমিক রিপোর্টে ষাটোর্ধ্ব ফেরদৌস বেগমের দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের রিপোর্ট এসেছে। পুরো নিশ্চিত হতে ঢাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছে, খুব শিগগির রিপোর্ট পাওয়া যাবে। করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর তার দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ ঘটেছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকেরা। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ জুলাই তাকে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিছু দিন আগে করোনায় তার স্বামী মারা যান। পিতার মৃত্যুর পরপর মায়ের এমন রোগে দিশেহারা তার সন্তানেরা। তারা বলছেন, চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না চট্টগ্রামে। দিনে ৫ ভায়াল করে ১৪ দিন তাকে একটি ইনজেকশান দিতে হবে, সেটি মিলছে না। তার একটি অস্ত্রোপচার লাগবে। নাক, মুখ ও চোখে এই অস্ত্রোপচার হবে, যাতে পুনরায় নতুন জায়গায় ফাঙ্গাস না ছড়ায়।
রোগীর স্বজনেরা জানান, গত ২৫ জুন তার জ্বর আসে। ৩ জুলাই পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে ১৫ জুলাই পরীক্ষায় তিনি কোভিড নেগেটিভ হন। তবে এরপরে তার নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আগে থেকেই তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আছে। কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রথমে তার দাঁতব্যথা হয়। এরপর মুখ ফুলে যাচ্ছিল। পরে চোখ ও চোখের আশপাশের জায়গায় লালচে কালো হয়ে যাচ্ছিল।
তখন একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তারা। ওই চিকিৎসক তার সিটি স্ক্যান করতে দেন। রিপোর্ট আসার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলে ধারণা করেন চিকিৎসকেরা। আরও অধিকতর পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত রিপোর্ট হাতে আসেনি বলে জানান চিকিৎসকেরা। চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুযত পাল বলেন, উনার শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ আছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত তা নিশ্চিত করে এখনও বলা যাবে না। তাকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী হিসেবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন