করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় দেশের উচ্চ আদালতের এক রায়ে স্থগিত করা হয় সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন। সেকারণে গত ২৮ জুলাই নির্ধারিত উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে স্থগিত হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিলেও ভোটারদের মধ্যে আনন্দের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্থগিত হওয়া নির্বাচন আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ওই মাসের ৪ তারিখ পরিকল্পনা নিয়েছে ভোট গ্রহণের।
কমিশন সূত্র মতে, আগস্ট মাসে তো ভোট হবেই না, এমনকি ওই মাসে ঘোষণা করা হবে নাভোটের তারিখটাও। ভোটের আগে ২/৩ দিন সময় রেখে সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ওই মাসের ৪ তারিখ ভোট গ্রহণের দিন করা হবে নির্ধারণ। অবশ্য ওইদিন সম্ভব না হলে ৫ সেপ্টেম্বর ভোটের দিন করা হতে পারে নির্ধারণ। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ভোট গ্রহণের ১৮০ দিনের মেয়াদ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) শেষ হবে। কমিশনকে এ সময়ের মধ্যে ভোট করে আনুষ্ঠানিক ফলাফল (গেজেট প্রকাশ) করতে হবে। প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত গত সোমবার এক আদেশে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত করেন স্থগিত । আদালতের আদেশ পেয়ে ইসি ওই দিনই উপ-নির্বাচনটি স্থগিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। পূর্বঘোষিত শিডিউল এ আসনের উপনির্বাচনের নির্ধারিক তারিখ ছিল গত ২৮ জুলাই। তবে আদালতের আদেশ অনুযায়ী ৫ আগস্টের পরে যেকোনও দিন ভোট করার সুযোগ থাকলেও শোকের মাসের বিষয়টি বিবেচনা করে সেপ্টেম্বরেই ভোট করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেছেন, কমিশন আগে থেকেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী শোকের মাসে কোনও নির্বাচন করবে না। ফলে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন হবে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। তিনি বলেন, আগস্ট মাসে সব ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রম থাকবে বন্ধ। ফলে নির্বাচনের তারিখটিও এ সময় ঘোষণা করা হবে না। হাতে দুই-তিনদিন সময় রেখে জানানো হবে সেপ্টেম্বরেই ভোটের তারিখ। এক্ষেত্রে ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বা তার পরের দিন ভোট হতে পারে। কারণ, আমাদের সম্ভবত সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখের মধ্যে শেষ করতে হবে ভোটের প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি শফি আহমেদ চৌধুরী। যদিও এই নির্বাচন বর্জন করছে বিএনপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন