রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশকিছু দিন ধরে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে অনেক সবজিই কিনতে পারছেন ক্রেতারা। তবে মাছের দাম এখনও আগের মতো চড়াই রয়েছে। লকডাউনের কারণে বাজারে ব্যবসায়ীর সংখ্যা কিছুদিন কম আসলেও গতকাল ছিল ভিন্ন চিত্র। ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট লোকজনের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে পণ্যের সরবরাহও। মাছ ও সবজির সব দোকানই খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক সময়ের মতো দোকান খোলা রেখেছেন ব্যাবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, সবাই দোকান খোলায় এখন বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তবে সবজির চাহিদা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সবজির চাহিদা এখনও কিছুটা কম। আমাদের ধারণা আগামী সপ্তাহ থেকে সবজির চাহিদা বাড়বে। সেই সঙ্গে দামও কিছুটা বাড়তে পারে।
ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগের মতো এখনও সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাঁজর ও টমেটো। মানভেদে গাঁজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। আর পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। আগের মতো ঢেঁড়স পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সব ধরনের মাছের দাম বেশি। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি, মৃগেল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা আর পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিংড়ি এখন ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজির মধ্যে পাঙাশ মাছ কিনতে পারছেন ক্রেতারা। এদিকে গত সপ্তাহে গরু ও খাসির গোশতের দোকান বন্ধ থাকলেও এখন প্রায় সবগুলো খুলে গেছে। গরুর গোশত আগের মতোই ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া আগের মতো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে, লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন