স্পোর্টস রিপোর্টার : ভারতকে যেন রোখাই যাচ্ছে না। গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ জেতার পর কোয়ার্টার ফাইনালে উড়িয়ে দিয়েছিল নামিবিয়াকে। গতকাল শক্ত প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাও তো ‘নামিবিয়া’ই হয়ে গেল। ম্যাচের আগে লঙ্কানদের কণ্ঠে ছিল লড়াইয়ের প্রত্যয়। কিন্তু সেটির প্রতিফলন পড়ল না মাঠে, ম্যাচ হলো একতরফা। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান তোলে ভারত। শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কা ৪২.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৭০ রানে। ম্যাচের শুরুটা ছিল লঙ্কানদের জন্য আশা জাগানিয়া। গুমোট সকালে ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে ভারতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার নতুন বলের দুই পেসার। কিন্তু ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ ঠিকই পথ খুঁজে নিয়েছে বড় স্কোর গড়ার। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য ছিল না সেই রানকে টপকে যাওয়ার। আর লঙ্কানদের ৯৭ রানে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে চলে গেছে ভারত। এটি যুব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশিবার ফাইনালে যাওয়ার রেকর্ড।
পাকিস্তানও পাঁচবার ফাইনালে গিয়েছিল। যদিও এর দুবার চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছে তারা। সেখানে এবার ভারতের সামনে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো যুব বিশ্বকাপ ট্রফির হাতছানি।
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ২৭ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছিল দুই উইকেট। সেখান থেকে টেনে তুলেছেন সরফরাজ খান ও আনমোলপ্রীত সিং। তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৯৬ জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। দুর্দান্ত একটা টুর্নামেন্ট কাটাচ্ছেন সরফরাজ, টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০৪ রান তাঁর। গতকালও করেছেন ৫৯ রান। তবে আনমোলই ছিলেন বেশি উজ্জ্বল, ৭২ রান করে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। সুন্দরের ৪৫ বলে ৪০ ও আরমান জাফরের ১৫ বলে ২৯ রানে শেষ পর্যন্ত ২৬৭ রান করতে পারে ভারত। শ্রীলঙ্কার আসিথা ফার্নান্দো পেয়েছেন ৪ উইকেট।
‘বড়’ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই হোঁচট খেতে শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ৪২ রানের মধ্যেই পড়ে যায় তাদের প্রথম ৩ উইকেট। এরপর কামিন্ডু মেন্ডিস ও শাম্মু আশান চতুর্থ উইকেটে একটু আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু ৯২ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ার পর বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। শেষ পর্যন্ত ৪২.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ১৭০ রানে। ভারতের মায়াঙ্ক ডাগার ২১ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন