শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাবর্ত্যাঞ্চলে পাড়ায় পাড়ায় সংক্রমণ বৃদ্ধি; গ্রাম থেকে শহরে যাওয়া আসায় প্রধান কারণ

রামগড় (খাগড়াছড়ি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ২:৪৫ পিএম

গত বছর থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকেই বেশিরভাগ সংক্রমণ শনাক্ত হয় মূলত: ঢাকা এবং বিভিন্ন বিভাগীয় শহরগুলোতে। কিন্তু শহরের তুলনায় মাস দু'য়েক ধরে পার্বত্যাঞ্চলের প্রত্যন্ত পাড়ায় মহল্লায় এ সংক্রমণের প্রার্দুভাবের ব্যাপকতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু গ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন?

উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ,বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন সেচ্চাসেবক সংগঠন স্বস্ব জেলা- উপজেলায় সম্প্রতি চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। কিন্তু এলাকার হাট-বাজারগুলোতে দেখা গেছে লকডাউনের মধ্যেও মানুষের জটলা এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই মাস্কবিহীন ঘোরাফেরার দৃশ্য। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী উপজেলার সাধারণ জনগন যেমন- মাটিরাঙার অভ্যা মৌজা, লক্ষীছড়া, ফটিকছড়ির বাগান বাজার, মানিকছড়ির বাটনা, কালাপানিসহ আশে পাশের এলাকার নারী- পুরুষ ও শিশুসহ বাজার করতে দেখা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় এক বাজারে একটি চায়ের দোকানে কাঠের দুটো বেঞ্চিতে ঘেঁষাঘেষি বসে আছেন অন্তত: ১০-১২জন। দোকানের টিভিতে চলছে বাংলা সিনেমা। উপস্থিত কারো মুখে মাস্ক নেই।
লকডাউনের মধ্যে বাইরে এভাবে জটলা করে আড্ডা দেয়ার কারণ কী – জানতে চাইলে একজনের সোজাসাজি উত্তর, ঈদ উপলক্ষে শহর থেকে আত্বীয় বেড়াতে আসছে। তাকে নিয়ে ঘুরতে আসা বাজারে। তাছাড়া বাড়িতে আর কতক্ষণ বসে থাকা যায়?

এনিয়ে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রতীক সেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, ঈদ এবং লকডাউনের আগে-পরে মানুষের শহর-গ্রাম আনাগোনা এবং সংক্রমণ গোপন রেখে চলাফেরার কারণে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি কারণ। এখানে মানুষের মধ্যে মুভমেন্ট হচ্ছে। অনেকে শহরে যাচ্ছে, আবার গ্রামে আসছে। অনেকের মধ্যে উপসর্গ থাকলেও সেটা গোপন করে চলাফেরা করে যাচ্ছে। ফলে সংক্রমণ আরো বেশি ছড়াচ্ছে।
অপর দিকে- সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় রামগড় করোনা সংক্রমনে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্প্রতি কয়েকদিন আগে কোন এক প্রোগ্রামে তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকার হাসপাতালগুলোতে যেসব করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন, তাদের ৭৫ শতাংশই গ্রাম থেকে আসা।
আবার এসব রোগীদের একটা বড় অংশ শেষ সময়ে হাসপাতালে আসায় মৃত্যুও বাড়ছে। কিন্তু এরপরও সাধারন মানুষের মধ্যে মাস্ক পরা কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা প্রায় দেখা যাচ্ছে। আর শংঙ্খাটা এখানেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন