শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন কাজী সালাউদ্দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২১, ৬:৫৭ পিএম

নতুন নামকরণ নিয়ে দীর্ঘ তিন দশক পর ফের চালু হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পুরস্কার। এবার এ পুরস্কারের নামকরণ হয়েছে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে, ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক শহীদ শেখ কামালের নামে এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে সাত ক্যাটাগরিতে। বুধবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল জাপানের টোকিও থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় প্রথমেই জায়গা হয়েছে দেশের ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চারবারের সভাপতি ও সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী মো. সালাউদ্দিনের নাম। তিনি পাচ্ছেন আজীবন সম্মাননা।

বৃহস্পতিবার শহীদ শেখ কামালের জন্মদিনে পুরস্কারপ্রাপ্তরা সকাল ১১টায় এনএসসি’র শেখ কামাল মিলনায়তন থেকে পুরস্কার গ্রহণ করবেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকতে সম্মতি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাত ক্যাটাগরিতে ১০ জন ব্যক্তি ছাড়াও দু’টি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কার পাবে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেয়া হবে ১ লক্ষ টাকা ও সম্মাননা স্মারক।

কাজী সালাউদ্দিন এর আগে ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পদক যারা পেয়েছেন তাদেরকে সাধারণত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় আনা হয় না। কারণ স্বাধীনতা পদক পুরস্কার সর্বোচ্চ পর্যায়ের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের চেয়ে নিচের স্তরের। ৩০ বছর স্থগিত থাকার পর এবার শেখ কামালের নামকরণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ পুরস্কারের জন্য কাজী সালাউদ্দিনকে মনোনয়ন প্রসঙ্গে টোকিও থেকে বুধবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পদকটি আমরা বিশেষ ক্যাটাগরিতে রেখেছি। যারা ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘদিন যাবৎ অবদার রেখে চলেছেন তাদেরকে আমরা এ ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করেছি। অন্য ক্যাটাগরিতে কিন্তু যারা ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন তাদের মনোনীত করা হয়নি। আজীবন ক্যাটাগরিকে আমরা বিশেষভাবে মনোনয়ন দিয়েছি।’

শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আজীবন ক্যাটাগরিতে চার জনের নাম ছিল। এই তালিকায় অন্যতম হচ্ছেন- কাজী সালাউদ্দিন, আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না। শেষ পর্যন্ত সালাউদ্দিনই প্রথম শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন। সালাউদ্দিন ছিলেন শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি শেখ কামালের ক্লাব আবাহনীতে খেলেছেন ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। খেলা ছেড়ে পরবর্তীতে আবাহনীর কোচও ছিলেন সালাউদ্দিন।

২০০১ সালে ক্রীড়া সংস্থা হিসেবে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সা¤প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক পারফরম্যান্স বিশেষ করে ২০১৯ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বিসিবিকেও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে ক্রীড়া সংস্থা ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এই প্রথম সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। যা পাচ্ছেন দেশের বর্ষিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

খেলোয়াড়, সংগঠক, পৃষ্ঠপোষক, ক্রীড়া সংস্থা ও সাংবাদিকরা এই পুরস্কারের আওতায় থাকলেও এর বাইরে আছেন রেফারি, আম্পায়ার ও কোচরা। এবার বিবেচনায় না আনলেও আগামীতে এই পুরস্কারের আওতায় তাদেরকে আনা হবে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের অবদানের ব্যাপারেও আমরা যথেষ্ট জ্ঞাত। আমরা তাদেরও বিবেচনা করেছি। তবে বিশেষ ক্যাটাগরি হয়নি। সামনে এই ব্যাপারে আলাদা ক্যাটাগরির বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।’

শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন: আজীবন সম্মাননা- কাজী মো. সালাউদ্দিন, ক্রীড়াবিদ- মাহফুজা খাতুন শিলা (সাঁতার), রোমান সানা (আরচ্যারি), মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারোত্তোলন), ক্রীড়া সংগঠক- মনজুর কাদের, ক্য শৈ ল হ্ন, উদীয়মান ক্রীড়াবিদ- আকবর আলী (ক্রিকেট) , ফাহাদ রহমান (দাবা), উন্নতি খাতুন (ফুটবল), ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন/সংস্থা- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), ক্রীড়া সাংবাদিক- মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান- ওয়ালটন গ্রুপ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন