শ্রাবনের ভারি বর্ষণে সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলে চলমান কথিত লকডাউন যথেষ্ঠ কর্যকর হয় শনিবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। গত কয়েকদিন জনজীবনে লকডাউনের তেমন কার্যকরিতা না থাকলেও শনিবার সকাল থেকে প্রায় দু ঘন্টার ভারী বর্ষণে তা যথেষ্ঠ করার্যকর ছিল। দুপুরে ২টায় এ রপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল যুড়েই হালকা বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
মুখ গোমড়া করা মেঘে ঢাকা সকালের শুরু দেখেই আঁচ করা যাচ্ছিল ভারী বর্ষণের। অনুমান সঠিক করে সকাল সোয়া ৯টার দিকেই প্রবল বর্ষন শুরু হয় বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে। সকাল ১১টা পর্যন্ত ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে বরিশাল মহানগরীর বেশীরভাগ এলাকার রাস্তাঘাটই এক থেকে দেড় ফুট পানির তলায় চলে যায়। এমনকি সকাল থেকে প্রবল বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় করোনা প্রতিষেধক গনটিকা কার্যক্রম অনেকটাই ব্যাহত হয়। শণিবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২ উপজেলার ৩৫২টি কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন পৌর এলাকার ৭৯টি কেন্দ্রে গনটিকা কার্যক্রম শুরু হবার কথা থাকলেও অনেক এলাকায়ই তা বৃষ্টিজনিত কারণে যথেষ্ঠ ব্যহত হয়।
এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির অভাবে রবি ফসল থেকে শুরু করে আমন বীজতলা তৈরী পর্যন্ত পরিস্থিতি প্রতিকুল থাকলেও গত জুন ও জুলাই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশী বৃষ্টিপাতে ফসলের ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই কেটে গেছে। সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে এখন আমন রোপনের ধুম চলছে। মাঠে মাঠে কৃষকের কর্ম ব্যস্ততা।
চলতি খরিপ-২ মৌসুমে সারা দেশে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৩ হাজার টন আমন চাল উৎপাদনের লক্ষে ৫৫ লাখ ৭৭ হাজার হেক্টরে আবাদ লক্ষ্য স্থির করেছে কৃষি মন্ত্রনালয়। এরমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায়ই ৭ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টরে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৭ টন আমন চাল পাবার লক্ষ্যে কাজ করছেন দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি যোদ্ধাগন। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আমনের যথেষ্ঠ অনুকুলেই রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ থেকে মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ দেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত থাকার কথা জানিয়ে সারা দেশে তা মোটামুটি সক্রিয় এবং বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে বলে জানান হয়েছে। বরিশাল বিভাগ সহ উপক’লীয় এলাকায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্র্ষনের সম্ভবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। তবে রোববারের পরবর্তি ৪৮ ঘন্টায় আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতির সামান্য পরিবর্তনের কথাও বলেছে আবহাওয়া দপ্তর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন