মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মুশফিক এবং র‌্যাঙ্কিং নিয়ে উদ্বিগ্ন নন মাশরাফি

প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১৪ সালের মাঝপথে ওয়েস্টইন্ডিজ সফরের পর হারিয়েছেন মুশফিকুর ওয়ানডে দলের ক্যাপ্টেনসি। এক সঙ্গে তিন ফরমেটের ক্রিকেটে ছিলেন অধিনায়ক, ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে শুধুই তিনি টেস্ট অধিনায়ক। তাও আবার টেস্টে তার পরিচয় শুধুই ব্যাটসম্যান, তার জায়গায় লিটন দাসের হাতে গত বছর কিপিং গøাভস তুলে দিয়েছে বিসিবি। চলমান সিরিজের প্রথম ২ ম্যাচে এই কিপিং গøাভসটিই মুশফিকুরকে দাঁড় করিয়েছে সমালোচনার মুখে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৭তম ওভারে সাকিবের বলে আসগর স্ট্যানিকজাই’র ক্যাচ উইকেটের পেছনে ফেলে দিয়ে কি বিপদেই না ফেলে দিয়েছিলেন মুশফিক। নাভিশ্বাস উঠিয়ে ছাড়া আফগানদের শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হারিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন মাশরাফি, অপবাদ থেকে বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন মুশফিকুর। দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই ৪৭তম ওভারে তার কিপিং গøাভসটি হয়ে উঠেছে অবিশ্বস্ত! মোসাদ্দেকের বলে হাফপীচে এসে খেলতে যেয়ে অবধারিত স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েও মুশফিকুর রহিমের অসতর্কতায় গেছেন বেঁচে নজিবুল্লাহ জাদরান। ওটাই তাদের ম্যাচ জয়ের টার্নিং পয়েন্ট, বাংলাদেশের হাত থেকে পুরোপুরি ম্যাচ ছিটকে যাওয়ায় তাই অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হতে হচ্ছে মুশফিককে। সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচেও তাই মুশফিকুরকে আলোচনায় এনেছে মিডিয়া। তবে ওই অপরাধে মুশফিকুরকে অপরাধী করার পক্ষপাতী নন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কÑ‘একেক জন মানুষের চিন্তা ভাবনা, চলাফেরা একক রকম। মুশফিকের পেশাদারিত্বের বিষয়টি আমাদের থেকে সব সময় এক ধাপ এগিয়ে থাকবে। পেশাদারিত্বের জায়গায় মুশফিককে একশ’তে একশ’ দিতে হবে। ওর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সামনের ম্যাচে তা আমার উপরও আসতে পারে। আমিও কোনো ভুল করতে পারি।’
মুশফিকুরের ওই ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে বরং দলের হারে দ্বিতীয় ম্যাচের ব্যাটিংকে সামনে আনতে চান মাশরাফিÑ ‘ম্যাচে এক-দু’টি অনাকাঙ্খিত জিনিস ঘটে। কিন্তু কখনোই একজনের কারণে হারা সম্ভব নয়। আমরা যদি আরো ২০টা রান করতাম তাহলে এ ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হত না। তাই তার উপর একেবারেই বিরক্ত নই, বরং মুশফিককে নিয়ে মোর দ্যান হ্যাপি।’ মুশফিকুরের ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ও নন বাংলাদেশ অধিনায়কÑ‘আমরা অবশ্য উদ্বিগ্ন নই। তার কিছু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এই যেমন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলে না। এগুলো তার একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে কোনো কথাই বলা ঠিক হবে না। কিন্তু আপনি যদি তাকে খেলোয়াড় হিসেবে চলাফেরা কিংবা তার টিমে মেলামেশা, তা পুরোপুরি আপ টু দ্য মার্ক।’
গত বছরে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট ৬৯ থেকে ৯৮ পর্যন্ত উঠিয়েছে বাংলাদেশ দল। ৯ থেকে ৭ নম্বরে উঠেছে বাংলাদেশ। আইসিসি’র জটিল সমীকরনের হিসাব মলিয়ে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ দল। মাশরাফিদের এমন কৃতিত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণে বাংলাদেশের সামনে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ এ থাকার যে চ্যালেঞ্জ, তার জন্য আইসিসি’র বেধে দেয়া সময় ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। যেভাবে বাংলাদেশ একটার পর একটা সিরিজ জয়ে এগুচ্ছিল,তাতে আফগানিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করে ইংল্যান্ডকে অন্ততঃ ২-১ এ হারাতে পারলেই র‌্যাঙ্কিংয়ে আর এক ধাপ উন্নতি করে ৬ এ ওঠার হাতছানি ছিল। শ্রীলংকাকে টপকে যাওয়ার সে সম্ভাবনায় বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে। তবে সিরিজকে সামনে রেখে র‌্যাঙ্কিংয়ের হিসেব মেলানোর কথা টীম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হলেও র‌্যাঙ্কিং নিয়ে এখন চিন্তা মাথায় আনছেন না মাশরাফিÑ ‘দেড় বছর আগে এইসব র‌্যাঙ্কিং নিয়ে আমাদের প্রশ্নই আসতো না। র‌্যাঙ্কিংয়ে যত তাড়াতাড়িই উঠেছে আমরা, যদি খারাপ খেলি তত তাড়াতাড়িই নেমে যাওয়ার শঙ্কাও আছে। আমাদের পরিকল্পনা একটাই, সবার সঙ্গে জিততে চাই। তা আফগানিস্তানই হোক, কিংবা অস্ট্রেলিয়া। যদি আমরা এই ধারা ঠিক রাখতে পারি, তাহলে র‌্যাঙ্কিং এগিয়ে যাবেই। তাই নেতিবাচক জিনিস আমি ভাবছি না।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন