চট্টগ্রাম সীতাকুন্ডে র্যবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি ও রোড ডাকাত কাজল এর মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানাধীন এলাকায় বসবাস করে আসছিল। নিহত কাজল সীতাকুন্ড ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামী সংযোগ সড়কে গরুবাহী গাড়িচালক আবদুর রহমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। পুলিশ ঘটনার সত্যতা জানিয়েছে। গত শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে সলিমপুরের ফৌজদারহাট বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা।
সূত্র জানায়, একদল ডাকাত ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় মহাসড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। গোপন সংবাদটি শুনার পর র্যাবের একটি টিম ৪ নম্বর ব্রিজে অবস্থান করে। এদিকে ডাকাত দল র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সমানে গুলি ছোঁড়তে থাকে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়লে ডাকাত দল এসময় পালিয়ে যায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাজলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ১টি বিদেশি পিস্তল, ১৫টি কার্তুজ, ২টি গুলি, ১টি কার্তুজের খোসা, ১টি ছোরাও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একই এলাকায় গত ১৬ জুলাই উপজেলার ফৌজদারহাট বায়েজিদ লিংক রোডে কোরবানির গরু ট্রাকযোগে চট্টগ্রামে নিয়ে যাবার সময় ডাকাতদল ট্রাক থেকে গরু লুটের চেষ্টা করে। এসময় ট্রাক চালক মো. আবদুল ডাকাতদের বাধা দিলে ডাকাত কাজল তাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ জানতে পারেন, মোট ৯ জন ডাকাত ওই ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে ৮ জন ডাকাত সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছে। আর গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তারা জানায়, গরুবোঝ্ইা ট্রাকচালককে প্রথমে গুলি করেছিল ডাকাত কাজল। যার ফলে তখন চালক মারা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন