ফরিদপুর সদর থানার নর্থচ্যানেল এলাকা থেকে গতকাল বেলা ২টায় দীর্ঘ ২০ দিন চেষ্টার পর চরবাসী উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বিশাল আকৃতির একটি কুমির। এলাকাবাসীর ধারণা কুমিরটি প্রায় ১০ ফিট লম্বা হবে। গত ঈদের ২ দিন পর থেকে চরের একটি কুমির আটকে পড়ে। এ কুমিরটি নিয়ে চরম আতঙ্ক ছিলো এলাকাবাসীর মধ্যে। বন বিভাগের ১২ সদস্য দুইদিনের অভিযান করে ব্যর্থ হলেও চরবাসী ব্যর্থ হননি।
ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকায় জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামে একটি বিরল প্রজাতির মিঠা পানি কুমিরটি আস্তানা গেড়েছিল। সেটি উদ্ধারের জন্য গত ১৯ দিন যাবৎ চেষ্টা চলছিল। দ্বিতীয় দফা অভিযান চালায় বন বিভাগের একটি দল। তারাও ব্যর্থ হয়। আশা ছাড়েনি চরবাসী। শেষ পর্যন্ত গত ২০ দিন চেষ্টার পর গতকাল চরবাসী এক হয়ে উদ্ধার করে এই বিশাল আকৃতির কুমিরটি।
গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৪-৫ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেও ধরা সম্ভব হয় কুমিরটিকে। তিন দফা জালে আটকা পরলেও প্রতিবারই জাল ছিড়ে বের হয়ে যায় কুমিরটি। অবশেষে গতকাল ২টার দিকে কুমির উদ্ধারের মধ্য দিয়ে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। বন্যপ্রাণি সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বলেন, কুমিরটি বিরল প্রজাতির মিঠাপানির কুমির। এটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এলাকাবাসী বলেন, ধারণা ওই কুমিরটি একটি মাছ তাড়া করতে করতে এ জলাধারে এসে আটকা পড়েছে। নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, কুমিরটির ধরার মধ্য দিয়ে ২টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের আতঙ্ক কেটে গেল। কুমির উদ্ধারের সময় প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন