সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রাজধানীতে সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় শ্রমিক নিহত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২১, ১১:৩৫ এএম

রাজধানীর শ্যামপুরের ধোলাইপাড় সাবান ফ্যাক্টরির গলি‌ এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি গাড়ির ধাক্কায় ফারুক হোসেন (৪০) নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

সোমবার ( ৯ আগস্ট) রাতের ১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহতের ভাই রাজু জানান, গেন্ডারিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন ফারুক। রাতে বাসায় ফেরার সময়, ধোলাইপাড় সাবান ফ্যাক্টরি গলি এলাকায় রাস্তা পার হতে গেলে সিটি করপোরেশনের একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ধোলাইপাড় এলাকাতেই পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার বাড়ি রংপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকার মৃত মনসুর আলীর ছেলে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ahsan ১০ আগস্ট, ২০২১, ৯:০২ পিএম says : 0
বাংলাদেশের এখন প্রধান এবং এক নম্বর সমস্যা সড়কে হত্যা, সড়কে হত্যা মহামারীর রূপ নিয়েছে, প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে “অমুক স্থানে অমুক সড়কে মৃত্যু” আর বেশির ভাগ সড়কে মৃত্যুর খবর মিডিয়াতে আসেই না। আবার অনেক পত্রিকার হেডলাইন হয় “সড়কে হত্যার মিছিল” “সড়ক যেন মৃত্যুপুরী”, “থামছে না সড়কে হত্যা”,”২৮ লক্ষ লাইসেন্সহীন চালক”, প্রায় ৯ লাখ ফিটনেসহীন গাড়ি” – এইসব কোনো সংবাদই কর্তৃপক্ষের বা নীতি নির্ধারকদের চোখে পড়ে না। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন মিডিয়ায় বলেন, পথচারীরা সচেতন হলেই সড়কে মৃত্যু কমবে। তারা আদৌ জানেনই না সড়কে মৃত্যুর আসল কারণ। তাই দায়সারা বক্তব্য দেন আর যে বা যারা সামাজিক আন্দোলন করেন তারাও আজো কোনো নীতিমালা দিতে পারেননি বা তাদের দেয়া প্রস্তাব কখনো গ্রহণ হয় না, আমলেও নেয়া হয় না। এর ফলে প্রতিনিয়ত সড়কে মৃত্যু বাড়ছেই। এক জরিপে বলা হয়েছে সড়কে মৃত্যুর হার ১৮% হারে বাড়ছে । সড়কে মৃত্যুর শিকারদের ৩৯ শতাংশই শিক্ষার্থী। এর প্রধান ও অন্যতম কারণ বিচারহীনতা! বাংলাদেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৪ জন নিহত হয়৷ আর এই সংখ্যা বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যার মধ্যে সর্বোচ্চ৷ সেন্টার ফর ইনজ্যুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)-এর জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে৷ বাংলাদেশে কার্যকর সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত সংঘটিত একটি আন্দোলন বা গণবিক্ষোভ। ঢাকায় ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দ্রুতগতির দুই বাসের রেষারেষিতে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া নিহত হয় ও ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এই সড়ক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত দুই কলেজ শিক্ষার্থীর সহপাঠিদের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ পরবর্তীতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। পরবর্তীতে ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভা একটি খসড়া ট্রাফিক আইন অনুমোদন করে, যে আইনে ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যায় মৃত্যুদণ্ড এবং বেপরোয়াভাবে চালিয়ে কারো মৃত্যু ঘটালে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়; যদিও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া চালনায় মৃত্যুদন্ড দাবি করেছিল। ৬ আগস্ট, মন্ত্রিসভায় নতুন ট্রাফিক আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়, যেটাতে মোটরযান দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষ হত্যা করলে মৃত্যুদণ্ড এবং বেপরোয়াভাবে চালিয়ে হত্যা করলে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়।১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আইনটি সংসদে পাশ হয়। ওই বছর ৮ অক্টোবর এর গেজেট জারি করা হয়। ৭-৯ আগস্ট ও ২৮-৩০ আগস্ট পরিবহনশ্রমিকরা দেশের ১৭টি জেলায় নতুন আইনের শাস্তি কমানো ও অন্যান্য সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে ধর্মঘট করে।তারা গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ সবধরনের যানবাহন আটকে দেয়, অনেক গাড়ির চালক ও যাত্রীদেরকে হেনস্থা ও মারধোর করে এবং মুখে ও পোশাকে পোড়া মবিল মাখিয়ে দেয়।তারা হাসপাতালগামী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় মৌলভিবাজার ও সুনামগঞ্জে দুটি নবজাতক শিশু মারা যায়,২২ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার আইনটি কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আইনটি পাসের প্রায় এক বছর দুই মাস পর এ ঘোষণা এল। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ধারা ১ এর উপধারা (২) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার ১ নভেম্বর ২০১৯ থেকে আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করল।’ এর ফলে আইনটি সংশোধন বা পরিবর্তন ছাড়াই কার্যকর হতে যাচ্ছে। নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নতুন আইনে সাজা বা অনেক বিষয় আমাদের চাওয়া অনুযায়ী হয়নি। তারপরও যা আছে তা অতীতের চেয়ে অনেক ভালো।’ তিনি বলেন, অতীতে মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলো আন্দোলন করে আইনকে দুর্বল করে দিয়েছে এই আন্দোলনের পরেই শিক্ষার্থীদের প্রাণ কাড়া শুরু হয়, ঢাকার শুধু সিটি এলাকায়ই প্রাণ হারায় ফাইযা, আদনান তাসিন, আবরার, লাবণ্য, তানজিলা, আরিফ, সাব্বির, আবিরসহ অনেকেই, আর সিলেটের ওয়াসিম, গাজীপুরে সালাহুদ্দিন, সাভারের শিল্পিকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করা হয়। সেন্ট জোসেফ-এর একাদশ শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ কলেজ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিমানবন্দর সড়কে যেখানে আকাশ পাতাল কাঁপানো শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া আন্দোলন হয়, ঠিক তার কয়েক গজ উত্তরে জোয়ার সাহারা বাসস্ট্যান্ড (আদনান চত্বর) সেখানে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবার সময়ে তাকে শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে দ্রুতগামী বাসচালক ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে বাসের চাকায় পিষ্ট করে নির্মমভাবে খুন করে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন