ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, হিজরী সন কেবল ইসলাম ধর্মীয় ইবাদাত পালনের সাথেই সম্পর্কিত নয় বরং বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য, খাদ্যাভ্যাস, জীবন ঘড়ি, অর্থনীতি, উৎসব-পার্বন হিজরী সনের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়। তিনি বলেন, জোয়ার-ভাটা, আমাবস্যা-পূর্ণিমার সম্পর্কও এই আরবী সনের হিসাবের সাথে। ফলে হিজরী সনকে কেবলই ইসলামী সন আখ্যা দিয়ে বিমূর্ত করে রাখা সত্যের অপলাপ বরং হিজরী সন বাঙ্গালীর সবচেয়ে জীবনঘনিষ্ঠ সন। সেজন্য হিজরী সনের আলোকে সবকিছু হোক এই প্রত্যাশা করবো।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে হিজরী সন তথা আরবী বর্ষ পালন, সে আলোকে চলা, হিসাব-নিকাশ রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই হিজরী সনের চর্চা করা উচিত। সে আলোকে মিডিয়াগুলো আলোচনা-ওয়েবিনার করতে পারে, রাজনীতিক দলগুলো শুভেচ্ছা বার্তা দিতে পারে। ছাত্র সংগঠনগুলো ইংরেজি নববর্ষকে কেন্দ্র করে ক্যালেন্ডার করে। তবে প্রথম হলো, হিজরী সনের প্রাসঙ্গিকতাটা বুঝতে পারা এবং তাকে ধারণ করা।
মন্তব্য করুন