ভারতের আসামে মুসলমানদের গুলি করে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মুসলিম নির্যাতন ও হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। পীর সাহেব চরমোনাই ভারতের আসামসহ বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে বিশ্বের মুসলিম নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান। ভারতের বিখ্যাত আলেম ও মুসলিম ধর্মপ্রচারক মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েও পীর সাহেব অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানান।
আজ শনিবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার এক নিয়মিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, আলহাজ খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, মেয়র প্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুনুর রশিদ, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুফতি সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শেখ লুৎফর রহমান, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, ইঞ্জিনিয়ার শরীফুল ইসলাম তালুকদার, আলহাজ মনির হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা মকবুল হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, জি এম রুহুল আমিন, মাওলানা মুহাম্মাদ শোয়াইব, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল আমিন, মাওলানা শেখ ফজলুল করিম মারুফ, মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন সাকী ও অ্যাডভোকেট শওকত আলী।
পীর সাহেব বলেন, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি সম্ভব। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কাছে জনগণের ভোটের কোন মূল্য নেই। সুস্থ্য ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি এদেশে এখনো গড়ে ওঠেনি। বড় রাজনৈতিক দলগুলো মুখেই শুধু গণতন্ত্রের চটকদার শ্লোগান দেয় আর ক্ষমতায় গিয়ে তারা সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়। তিনি বলেন, এখন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে; তা নিয়ে আলোচনা করা। গত দু'টি জাতীয় নির্বাচনে আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। আগামীতেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটুক আমরা তা চাই না। আমরা চাই দেশে এমন একটি পরিবেশ তৈরি হোক, যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য না হলে কোন নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন