অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চাইলেই আমরা ট্যানারি স্থানান্তর করতে পারি না, এটা করা শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাজ। তবে আমরা চাইলেই হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প শাটডাউন করে দিতে পারি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার অডিটরিয়ামে ‘ট্যানারি স্থানান্তর: হাজারীবাগ থেকে সাভার কতদূর?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। ট্যানারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ আলোচনা সভায় অংশ নেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাকে অনেকে প্রশ্ন করে, আপনি কবে হাজারীবাগের ট্যানারি সাভারে নিয়ে যাবেন। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই ট্যানারি সরানো আমার কাজ না। এটা শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাজ। আমি চাইলে ট্যানারি শাটডাউন করে দিতে পারি। ট্যানারি সরলে বুড়িগঙ্গা লাকি হবে। এর পাশাপাশি ট্যানারি শিল্পও লাকি হবে।
এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) রইছউল আলম মন্ডল বলেন, ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে আমরা অনেক সময় দিয়েছি। আর সময় দিতে চাই না। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ট্যানারি স্থানান্তর করতে হবে। তবে গোলটেবিল আলোচনা সভায় পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকের কথায় দ্বিমত পোষণ করে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)।
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সাবেক সভাপতি এম আবু তাহের বলেন, সাভারে সব ট্যানারি স্থানান্তর করতে আমাদের আরও কিছু সময় দিতে হবে। দুই একটা ছাড়া কেউ সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর করেনি। ট্যানারির স্থানারের বিষয়টি একটু শিথিল করতে হবে। এতো কড়াকড়ি করলে হবে না।
চামড়া শিল্প নগরীর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সাভারে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা আমাদের সহায়তা করছে না। এমনকি ট্যানারির কাছ থেকে দু’জন প্রকৌশলী চেয়েছিলাম এটাও তারা দেয়নি।
তাদের সঙ্গে মিটিং করেও কোনো ফল পাইনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার মিজানুর রহমান, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন