বৈশ্বিক করোনা মহামারির দরুণ দীর্ঘ দেড় বছর পর সউদী সরকার ১৪৪৩ হিজরি সনের বাংলাদেশি ওমরাহ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে। আগামী ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ বিমান যোগে (বিজি-৪০৩৫) প্রথম ওমরাহযাত্রী আই বি এম ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী জাফর ইকবাল খান সউদী যাচ্ছেন। আজ শনিবার সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে আল-মাহমুদ ট্রাভেলসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওমরাহ এজেন্সি মাছরাঙা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের মাধ্যমে জাফর ইকবাল খানের ওমরাহ মোফা ইস্যু করা হয়েছে। আল মাহমুদ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী ও হাবের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল কবির খান জামান আজ রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওমরাহ ভিসা ইস্যু হওয়ায় তিনি মহান আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি শিথিল হওয়ায় গত ৯ আগস্ট থেকে বিদেশি ওমরাহযাত্রীদের গ্রহণ করছে সউদী আরব। টিকা নেয়া বিদেশি ওমরাহযাত্রীরা ঐদিন থেকে ওমরাহ পালন করার জন্য সউদী আরবে যাওয়া শুরু করেছেন। করোনা মহামারির কারণে বিদেশিদের জন্য সউদী আরবের দরজা প্রায় দেড় বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। তারপর এই প্রথম তারা আবার বিদেশিদের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় এ কথা বলা হয়েছে।
সউদী সরকারি বার্তা সংস্থা সউদী প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওমরাহযাত্রীদের সোমবার থেকে গ্রহণ করা শুরু করবেন হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিদেশি ওমরাহযাত্রীদের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। প্রথমদিকে প্রতি মাসে ৬০ হাজার মুসলিমকে ওমরাহ করার অনুমতি দেয়া হবে।
তবে এই সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়িয়ে প্রতি মাসে ২০ লাখ করা হবে। বিদেশ থেকে যাওয়া ওমরাহযাত্রীদের সঙ্গে থাকতে হবে করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার সনদ। এ ছাড়া সঙ্গে থাকতে হবে ওমরাহ পালনের অনুরোধ। টিকা নেয়া ওমরাহযাত্রীদের সউদী আরবে পৌঁছার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
উল্লেখ্য, ইসলামের দুই সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ করা ইসলামের একটি রীতি। বছরের যেকোনো সময় তা করা যায়। পবিত্র হজের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। হজ পালিত হয় বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে। করোনা মহামারি হজ এবং ওমরাহ দুটি রীতিতেই বিভ্রাট ঘটিয়েছে। হজ এবং ওমরাহ থেকে সউদী আরব বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে থাকে। স্বাভাবিক সময়ে এই দুটি আনুষ্ঠানিকতা থেকে সউদী আরব বছরে আয় করে প্রায় ১২০০ কোটি মার্কিন ডলার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন