আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত আমেরিকার চরম ব্যর্থতা। ফের বাইডেন প্রশাসনকে একহাত নিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কথায়, চিন আমাদের দেখে হাসছে। আমি চিনের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট এনেছিলাম। আর এখন তার সিকিভাগও হচ্ছে না। আসলে চিন তো আমাদের নির্বাচনের রিগিং দেখে খুশি হয়েছিল। হয়ত সাহায্যও করেছিল। কিন্তু আফগানিস্তান প্রসঙ্গে এটুকু বলতে পারি যে আফগানিস্তানের ঘটনা আমেরিকার চরম ব্যর্থতা হয়ে থাকবে’। মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এখানেই শেষ, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। সবে তো শুরু হয়েছে। এখনও কাবুলে বহু মার্কিনী আটকে আছেন। শুধু মার্কিনীরা কেন, বহু দেশের মানুষ আটকে আছেন সেখানে। আর তাঁদের ঘিরে রেখেছে তালিবানদের বলয়। বলা হচ্ছে, তারা নাকি সমঝোতা করবে। কিন্তু ইতিহাস বলছে তারা সমঝোতা করে না। আদৌ আমাদের প্রিয়জনেরা বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়েই তো প্রশ্ন উঠছে’।
পাশাপাশি, আফগান সেনার উপর গুরুতর অভিযোগ আরোপ করেছেন ট্রাম্প। তার কথায়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগান সেনাদের অনেক টাকা দিত। আমেরিকার সেনা সরানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই আফগান সেনাও যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিল। যোদ্ধারা অবশ্যই সাহসী। কিন্তু এতদিন এত টাকা পেয়েছেন, এখন টাকা ছাড়া যুদ্ধ করবেন কেন’! আমেরিকা রীতিমতো ‘ঘুষ’ দিচ্ছিল আফগান সেনাকে, এমনটাই দাবি করেছেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, স¤প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন যে তিনি আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে অনুতপ্ত নন। তার কথায়, ‘ট্রিলিয়ন খরচ করে ফেলেছে আমেরিকা। আমরা তো অন্যের দেশ গড়ে দেব না’! এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের কটাক্ষ, ‘আমরা প্রতি বছর ৪২ বিলিয়ন খরচ করছিলাম। রাশিয়াও তো ৫০ মিলিয়ন খরচ করে। আর আমরা ৪২ বিলিয়ন। তবে আখেরে কোনও লাভ হল না’।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল আমেরিকা থেকে সেনা সরানোর কথা প্রকাশ্যে আনেন বাইডেন। এরপর দ্রæতগতিতে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। তার সঙ্গেই শুরু হয় তালিবানের উত্থান। বাইডেনের সাফ জবাব ছিল, ‘আফগানিস্তানের প্রশাসন এবং বাসিন্দাদেরই পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। আমেরিকা আর সাহায্য করবে না’।
গত ১৫ আগস্ট দেশের পূর্ণ ক্ষমতা তালিবানের হাতে চলে যায়। এরপরেই আশরাফ ঘানি ইস্তফা দিয়ে টাকা ভর্তি বিমানে চেপে প্রথমে তাজিকিস্তান যান। সেখানে তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়নি। এরপর ওমান হয়ে তিনি আমেরিকা উড়ে গিয়েছেন বলেই খবর। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প আবারও বলেন, ‘আমাদের ব্যর্থতা দেখে চিন হাসছে’। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন