প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবার আগে বেশ কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছিল কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগকে (কেপিএল)। ভারতের বার বার বাধা হয়ে দাঁড়ানোর মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদী। তার অগ্রণী ভূমিকায় সব বাধা ডিঙিয়ে ঠিক সময়েই মাঠে গড়িয়ে শেষ হয়েছে অভিষেক আসর। আর তার শিরোপাও উঠেছে পাকিস্তান কিংবদন্তি আফ্রিদির হাতেই! গতপরশু শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে মোহাম্মদ হাফিজের মুজাফফরবাদ টাইগারকে ৮ রানে পরাজিত করে শিরোপা উল্লাসে মাতে আফ্রিদির দল রাওয়ালকোট হকস।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে রাওয়ালকোট। দুই ওপেনার বিসমিল্লাহ খান ও ওমর আমিন ভালো শুরু এনে দেন দলকে। বিসমিল্লাহ খানের ব্যাট থেকে ১৯ বলে ৩০ রান। এ ছাড়া ওমর আমিন করেন ২৩ রান। দলের হয়ে ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন কাশিফ আলি। তবে ব্যাট হাতে নামা হয়নি আফ্রিদির। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে রাওয়ালকোট। মুজাফফরবাদের পক্ষে মোহাম্মদ হাফিজ ও উসামা মীর ২টি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া আরশাদ ইকবাল ও মোহাম্মদ ওয়াসিম একটি করে উইকেট শিকার করেন।
১৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত সূচনা পায় মোজাফফরবাদ টাইগার। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান তোলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও জিসান আশরাফ। ২১ বলে ২৯ রান করে হাফিজ ফিরলে ভাঙে জুটি। দারুণ ব্যাটিং করা জিসান ফিরে যান ৪৬ রান করে। জিসানকে আউট করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন শহিদ আফ্রিদি। পরের ওভারেই আফ্রিদির শিকার হয়ে ফিরে যান শোয়েব মাকসুদ।
এরপর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে মুজাফফরবাদ। শেষদিকে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ১২ বলে ২২ রান আশার সঞ্চার করে। কিন্তু তিনি রানআউট হয়ে ফিরে যান। শেষ ওভারে ১০ রানের প্রয়োজন হলেও নিতে পারেনি হাফিজের দল। আসিফ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে মাত্র ২ রান নিতে সক্ষম হয়। ফলে ১৬১ রানেই ইনিংস শেষ হয় মুজাফফরাবাদের। আর তাতেই ৮ রানের জয় পায় রাওয়ালকোট হকস। দারুণ বোলিং করে ম্যাচসেরা হয়েছেন আসিফ আফ্রিদি।
রাওয়ালকোটের হয়ে আসিফ আফ্রিদি এবং হুসেইন তালাত নেন ৩টি করে উইকেট। এ ছাড়া শহীদ আফ্রিদি নেন ২টি উইকেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন