দশ সদস্য বিশিষ্ট ওমরাযাত্রীর দ্বিতীয় দল সউদীর উদ্দেশ্যে আজ বুধবার ঢাকাত্যাগ করবে। এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনটি ওমরাহ এজেন্সির মাধ্যমে এসব যাত্রী সউদী যাচ্ছেন। এজেন্সিগুলো হচ্ছে, রাজশাহী ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস, বিকন ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল লিঃ ও জুমার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস।
বৈশ্বিক করোনা মহামারির দরুণ দীর্ঘ দেড় বছর পর বাংলাদেশ থেকে ওমরযাত্রীর প্রথম দল গত ২৬ আগস্ট মদিনায় পৌঁছেছে। বেসরকারি ওমরাহ এজেন্সি আল-মাহমুদ ট্রাভেলসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাছরাঙা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর মাধ্যমে যে তিন সদস্য বিশিষ্ট ওমরাযাত্রী মদিনায় পৌঁছেছেন, তারা হচ্ছেন মো. জাফর ইকবাল, এ এস এম জহিরুল ইসলাম ও মো. মোশাররফ হোসেন। মদিনা থেকে ওমরাযাত্রী জাফর ইকবাল টিটু জানান, তারা গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে মক্কার উদ্দেশ্যে মদিনাত্যাগ করছেন। আল-মাহমুদ ট্রাভেলসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাছরাঙা ট্রাভেলসের মাধ্যমে তারা সউদী গিয়েছেন।
সউদীস্থ নদওয়াতুল ওলামাআল-আলামিয়া মদিনা মোনাওয়ারার চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী গতকাল ইনকিলাবকে জানান, করোনা মহামারি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় দীর্ঘ দেড় বছর পর গত ১ মুহররম থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাযাত্রীরা সউদীতে আসা শুরু করেছেন। মদিনায় মসজিদে নববীর সকল দরজাগুলো মুসল্লিদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর মদিনার হোটেলগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ওমরাযাত্রী গ্রহণের উপযুক্ত করা হচ্ছে। রাজশাহী ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান রাতে ইনকিলাবকে জানান, তার এজেন্সির মাধ্যম গতকাল পর্যন্ত ১৫জন ওমরাযাত্রীর ভিসা ইস্যু হয়েছে।
এদের মধ্যেম আজ বুধবার ওমরাযাত্রী আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আবু জা, সুরাইয়া আক্তার, রাজু আহমেদ ও মো. শামীম আহসানসহ ৬জন যাত্রী ওমরাহ পালনের জন্য সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট যোগে সউদীর উদ্দেশ্যে ঢাকাত্যাগ করবেন। বিকন ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও আটাবের ভাইস- চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুম্মন চৌধুরী জানান, সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং (৮০৩ ) যোগে আজ বুধবার মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, মোহাম্মদ ফেরোজ আলম রাসেল ও মোহাম্মদ নূর বক্স ওমরাহ পালনের জন্য সউদী যাচ্ছেন। এছাড়া জুমার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের মাধ্যমে ওমরাযাত্রী আনিসুর রহমান আজ সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং (৮০৯) যোগে সউদী যাচ্ছেন। তারা ওমরাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন। এদিকে, ওমরাহ কার্যক্রমের সউদী অংশের খরচের অর্থ আইবিএএন এর মাধ্যমে সউদী আরবে প্রেরণের অনুমতি এখনো না পাওয়ায় ওমরাহ এজেন্সিগুলো চরম বিপাকে পড়েছেন। তারা ওমরাযাত্রীদের ভিসা ইস্যু কার্যক্রম শুরু করতে পারছেন না। এতে ওমরাযাত্রীরাও হতাশায় ভুগছেন।