ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অ্যানে ভেন লিওভেন। গতকাল মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩৮ মিলিয়ন এবং ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ মূলত তৈরি পোশাক, হিমায়িত মাছ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য নেদারল্যান্ডসে রফতানি করে এবং বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে তৈরি পোশাক ও পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত প্রভৃতি পণ্য বেশি হারে আমদানির আহ্বান জানান। এছাড়াও বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নদী ব্যবস্থাপনা ও নদী শাসন, ডিজিটাল শিল্পখাত এবং সমুদ্র অর্থনীতিকে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হিসেবে উল্লেখ করে, এ খাতসমূহে বিনিয়োগের জন্য নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, এ খাতের সুফল ভোগ করতে নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, ডিসিসিআই এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর হতে সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলন’ আয়োজন করবে এবং এ সম্মেলনের বিটুবি সেশনসমূহে ডাচ বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত অ্যানে ভেন লিওভেন বলেন, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেশ সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে, তবে সেটাকে আরও উন্নীত করতে হলে দুদেশের বেসরকারিখাতের মধ্যকার যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকার গৃহীত ‘ডেল্টা প্ল্যান’-এর কার্যকর বাস্তবায়নে ভবিষ্যতে বৃহৎ বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বাজার অত্যন্ত বৃহৎ ও সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্থানীয় জনগণের চাহিদা মেটাতে বিশেষকরে কৃষিখাতের আধুনিকায়ন খুবই জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, সারা পৃথিবীতে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশ কৃষিখাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও পণ্যের বহুমুখীকরণে ডাচ উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়াও বিশেষকরে বাংলাদেশে নদীপথের টেকসই উন্নয়ন, নদীশাসন, নদীখনন ও সর্বোপরি জলজ অবকাঠামো নির্মাণে ডাচ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন। ‘আইডিবির ভাইস- চেয়ারম্যান হওয়ার খবর সঠিক নয়’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন