রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

নতুন পেঁয়াজে সয়লাব চরভদ্রাসন বাজার

প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় এ বছর চলতি রবি মৌসুমের শুরুতে মুড়িকাঠা পেঁয়াজে বাজার ছয়লাব হয়ে পড়েছে। এ বছরও পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন। তবে পেঁয়াজের বাজার মূল্য কম হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন না। জানা গেছে, উপজেলার কৃষকরা প্রায় ১ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে মুড়িকাঠা পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। হেক্টর প্রতি ২শ’ মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এ মসলা বীজের পেঁয়াজ ফলন দাঁড়িয়েছে হেক্টর প্রতি প্রায় আড়াই শ’ মণ। তবুও এ বছর পেঁয়াজ চাষিরা লাভবান হচ্ছেন না বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। গত সোমবার হাটে লোহারটেক গ্রামের পেঁয়াজ চাষি ইছাহাক শেখ জানান, ‘হাটে ১০ মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম, ৬শ’ টাকা মণ দরে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি, কোনো মতে পুঁজি উঠেছে কিন্ত গত ৩ মাসে মাঠের খাটনিই বৃথা গেছে’।
জানা যায়, এ বছর উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নে ৩৮০ হেক্টর, গাজীরটেক ইউনিয়নে ৩৬০ হেক্টর, চরহরিরাপুর ইউনিয়নে ৩২০ হেক্টর ও চরঝাউকান্দা ইউনিয়নে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে পেঁয়াজের উচ্চ মূল্য দেখে কৃষকরা আবাদে বেশি আগ্রহী ছিল। কিন্ত বর্তমান বাজার ধসের কারণে কৃষকরা লাভবান হতে পারবে না।
গত সোমবার উপজেলা সদর হাট ঘুরে জানা যায়, পেঁয়াজের আমদানি বেশি হওয়ায় জায়গার অভাবে পাইলট হাই স্কুলের মাঠে বাজার বসানো হয়েছে। এতে উক্ত স্কুল মাঠ পেঁয়াজে ছয়লাব হয়ে আছে। মণ প্রতি ৬শ’ থেকে সর্বোচ্চ ৭শ’ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু পেঁয়াজ ক্রেতা মহাজনের সংখ্যা কম। পেঁয়াজ চাষি মনির ফকির (৫০) জানান, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করতে গুটি বীজ, জমি তৈরি, সার, সেচ ও মজুর মিলে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। আর উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করে আসল উঠবে কিনা সন্দেহ হচ্ছে’। এছাড়া হাটের টোল আদায়কারী মণ প্রতি ২০ টাকা হারে খাজনা আদায় করে চলেছেন। এতে চাষিরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এ বছর উপজেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে প্রায় ৮ হাজার ৮শ’ মে.টন. পেঁয়াজ। আর উৎপাদিত পেঁয়াজের পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার মেট্রিক টন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। ফলে উপজেলায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ার পরও বাজার ধসের কারণে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন