মাদারীপুর শহরের হযরত শাহ মাদার দরগাহ্ শরীফ এতিমখানার চার শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভয় আর আতঙ্কে এরই মধ্যে এতিমখানা ছেড়ে গেছে দুই শিক্ষার্থী। শুক্রবার বিকেলে এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। চার শিক্ষার্থীর বাড়ি কালকিনি ও ডাসার উপজেলায়। এদিকে ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক বেলাল হোসেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। স্থানীয় ও আহত ছাত্রদের স্বজনরা জানায়, অসুস্থতার কারণে শুক্রবার আসর নামাজে অংশ নিতে পারেনি হযরত শাহ মাদার দরগাহ্ শরীফ এতিমখানার প্রথম জামাতের শিক্ষার্থী আসিফ, সাকিব, রাজু ও সাইফুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বেলাল হোসেন একটি রুমের মধ্যে আটকে রেখে বেত দিয়ে ওই চার শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদম মারধর করে। পরে ভয় আর আতঙ্কে শুক্রবার রাতেই বাড়ি চলে যায় আসিফ ও সাকিব। শনিবার পরিবারের লোকজন ওই শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ মাদরাসা ত্যাগ করেন। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর মডেল থানা পুলিশ। আসিবের বাবা শাহাদাৎ বেপারী অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে বেত দিয়ে বেদম মারধর করেছে। ছেলে অসুস্থ থাকায় নামাজে অংশ নিতে পারেনি। এজন্য এভাবে নির্যাতন করবে, এটা মেনে নিতে পারছি না।
হযরত শাহ মাদার দরগাহ্ শরীফ কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আল আমিন শরীফ বলেন, ছাত্রদের মারধরের ঘটনা আমি ভালোভাবে জানি না। ঘটনা শুনে অভিযুক্ত শিক্ষক যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে বিচারের আওতায় আনা হবে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই মো. হাসানুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে মাদরাসা পরিদর্শন শেষে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীদের পরিবারের থানায় আসতে বলা হয়েছে, তারা অভিযোগ দিলে মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন