ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ও একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে ব্যর্থ মিশন শেষে কিরগিজস্তান থেকে দেশে ফিরেছে জাতীয় দল ফুটবল দল। পরশু বিকালে ফেরার কথা থাকলেও ফ্লাইট বিলম্বের কারণে বিশকেক থেকে রওয়ানা হয়ে মধ্যরাতে ঢাকায় পৌঁছান জামাল ভূঁইয়ারা। কিরগিজস্তানে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দুই ম্যাচে হেরে আসরে তৃতীয় হয়েছে। লাল-সবুজরা প্রথম ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক কিরগিজস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হয় ৪-১ গোলে। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে চরম ব্যর্থ হওয়ার পর জামাল ভূঁইয়া বাহিনী একমাত্র প্রীতি ম্যাচে কিরগিজ অলিম্পিক দলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হেরে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে। এবার লাল-সবুজদের চোখ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। আগামী ১ অক্টোবর মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে বসছে দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের সর্ববৃহৎ এ আসর। মূলত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখেই কিরগিজস্তান সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে তারা ফিরেছে ঠিকই তবে সাফ প্রস্তুতি শুরু করতে তাদের এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগবে। কারণ ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের এ মৌসুমে আরো তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। এ ম্যাচ তিনটি শেষ হলেই ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সাফের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবেন জাতীয় দলের ব্রিটিশ প্রধান কোচ জেমি ডে। সাফের এবারের আসরটি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এবার পাকিস্তান ও ভুটান টুর্নামেন্টে অংশ না নেয়ায় খেলা হবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। লিগ পর্যায়ের খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে ফাইনালে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন ১ অক্টোবর বাংলাদেশ মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
ভালো খেলার একটা গান সব সময়ই থাকে বাংলাদেশ কোচ জেমির মুখে। কিন্তু ম্যাচের আগের সেই সুরটা মাঠে থাকে না। যাদের দিয়ে ভালো খেলার গান শোনান তিনি, সেই ফুটবলাররাই সুরে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন মাঠে। বরাবরই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শুরু করে যেকোনো টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশের নামটি খুঁজে পাওয়া যায় তলানীতে। এবার সেই আক্ষেপ ঘোচাতে সাফে নিজেদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে বাংলাদেশ দল। গতকাল এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। এখন পর্যন্ত সাফের শেষ ১২টি আসরের মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র তিনবার ফাইনালে খেলতে পেরেছে। একমাত্র শিরোপাটি তারা জিতেছে ২০০৩ সালে ঢাকায়। ১৯৯৯ সালে ভারত ও ২০০৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত আসরে লাল-সবুজরা রানার্সআপ হলেও বাকি আসরগুলোতে ছিল অনুজ্জ্বল। ২০০৯ সালের পর তো চার আসরে গ্রুপ পর্বই টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই এবার সব ব্যর্থতা কাটানোর লক্ষ্য তাদের। লক্ষ্যপূরণে নিজেদের যোগ্যতা কতটুকু প্রমাণ করতে পারবেন জামাল ভূঁইয়ারা তা সময়ই বলে দেবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন