শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

তিনটি অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:২৪ পিএম

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হসপিটাল, টিএমএসএস এবং ইউনাইটেড ট্রাস্ট-এর সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। এই অংশীদারিত্বের আওতায়, উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বারা পরিচালিত দাতব্য হাসপাতালের জন্য ৩টি অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করতে চলেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। হাসপাতালগুলো দেশের চট্টগ্রাম, জামালপুর এবং বগুড়া জেলায় অবস্থিত।

অংশীদারিত্বের আওতায়, হাসপাতালগুলো যাতে করে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহে সক্ষম হয় সেজন্য ৩টি প্রেসার সুইং আবসর্পশন (পিএসএ) অক্সিজেন প্ল্যান্ট অনুদান দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এই প্ল্যান্টগুলোর মোট ধারণক্ষমতা প্রতি মিনিটে ১৩৪৭ লিটার।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলনে, “চলমান করোনা মহামারীতে আমরা বুঝতে পেরেছি যে অক্সিজেনের গুরুত্ব কতটা। এই অংশীদারিত্বের ফলে শীঘ্রই আমরা পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতে সক্ষম হবো বলে আমি আশাবাদী। বর্তমানে, চলমান সংকট মোকাবেলায় আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমাদের সকলকে দায়িত্বশীল থাকতে হবে, তবেই আমরা নতুন উদ্যমে আগের চেয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতে সক্ষম হবো।”

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হসপিটাল-এর ইসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মোর্শেদ হোসাইন বলেন, “বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্ব এবং বিশ্ববাসী করোনা মহামারীর আঘাতে বিপর্যস্থ। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরী হলো অক্সিজেন ব্যবস্থা। তাই আমাদের করোনা ইউনিটের জন্য অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্টের ব্যবস্থা করায় আমি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। এর ফলে আমরা সহজেই করোনাক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সুবিধা দিতে পারবো। জনসাধারণের কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য আমি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

টিএমএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. হোসনে-আরা বেগম বলেন, “দেশে মহামারী শুরুর পর থেকেই টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ এবং রাফাতুল্লাহ কমিউনিটি হসপিটাল করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত আছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড থেকে প্রাপ্ত অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট-এর মাধ্যমে আমরা অসংখ্য করোনাক্রান্ত রোগীদের যথাযথ অক্সিজেন সেবা দিতে পারবো। তাই এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-কে ধন্যবাদ এবং তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

ইউনাইটেড ট্রাস্ট-এর নির্বাহী পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রি.জে. এজেএম ফজলুর রহমান বলেন, “উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার লক্ষ্যে দেশের দূরদূরান্ত থেকে মানুষদের ঢাকায় আসতে হয়। জামালপুর, শেরপুর তথা গোটা ময়মনসিংহ জেলার মানুষদের উন্নত সেবা প্রদানই ইউনাইটেড ট্রাস্ট এর লক্ষ্য। এমএ রশিদ হসপিটাল লিমিটেড-এর জন্য একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টের ব্যবস্থা করায় ইউনাইটেড ট্রাস্ট স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর প্রতি সত্যিই কৃতজ্ঞ।”

বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির ধারা অব্যাহত রেখে, গত বছর এই কোভিড পরিস্থিতিতেও ২৫ টি উল্ল্যেখযোগ্য আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। এছাড়াও ব্যাংকটি ২০২০-এর সর্বোচ্চ সিএসআর ব্যয়কারী ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আন্তর্জাতিক ব্যাংকের স্বীকৃতি অর্জন করে এবং সেরা সিএসআর ব্যাংক হিসেবে বেশ কয়েকটি অ্যাওয়ার্ড পায়। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরী সহায়তা প্রদান, জীবিকা পুনঃগঠন এবং দীর্ঘ-মেয়াদী বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে ২০২১ সালের জন্য প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ (১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) টাকার স্ট্র্যাটেজিক কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের ঘোষণা দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।

এই মহামারীর সময় নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সমগ্র বাংলাদেশের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের পাশে থাকার লক্ষ্য অটুট রেখেছে। জনসাধারণের সেবায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক উন্নয়ন খাতের অংশীদারদের সাথে নিয়ে করোনা আক্রান্ত মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং প্রথমসারীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। ব্যাংকটি ইউসেপ বাংলাদেশ এবং ব্র্যাক-এর সাথে মহামারীতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া মানুষদের দক্ষতা বিকাশ এবং কর্মশক্তি পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন