শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বাদল রায়ের নামে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:০০ পিএম | আপডেট : ৭:০৫ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের টাকার চেক ও ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র নিচ্ছেন বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়।


প্রয়াত সাবেক তারকা ফুটবলার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) তিনবারের সাবেক সহ-সভাপতি বাদল রায়ের নামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের নামকরণ হবে। এমনটাই জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি। বুধবার

বাদল রায়ের পরিববারসহ অন্যান্য ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের জন্য ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থ ও ফ্ল্যাট বরাদ্দের অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। এদিন দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আর্থিক সহায়তার এক কোটি দশ লাখ টাকার চেক ও সঞ্চয়পত্র এবং ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। বাদল রায়ের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা ও একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। তার এই উপহারের টাকার চেক ও ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে গ্রহণ করেন বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়। এছাড়া সাবেক ফুটবলার শহিদ উদ্দিন সেলিমকে ১০ লাখ, সুভাস সাহাকে ৩০ লাখ, ক্রীড়াবিদ তন্দ্রিমা শিকদারকে ১০ লাখ, আমিনুল ইসলাম সবুজকে ২৫ লাখ, আকরাম হোসেন সরকারকে ১০ লাখ, ক্রীড়া সংগঠক হাজী মো. সাব্বির হোসেনকে ৫ লাখ ও সাইফুল ইসলাম ভোলাকে ৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ সঞ্চয়পত্র দেয়া হয়।

 

 

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন,‘দেশের ফুটবলে বাদল রায়ের অনেক অবদান রয়েছে। তিনি একজন কীর্তিমান মানুষ ছিলেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের নামকরণ তার নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের এক নম্বর স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামের কোথায় কী নামকরণ করা যায়, তা নিয়ে আমরা কয়েকজনের মতামত নিয়েছি। সেই আলোকেই ‘বাদল রায় প্রেসবক্স বা মিডিয়া বক্স’ যাই বলি না কেন নামকরণ হবে।’

তিনি আরো বলেন,‘আমরা সৌভাগ্যবান যে একজন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। আমার জানা নেই, বিশ্বের আর কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মতো এতটা ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ কি না। উনার সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। প্রধানমন্ত্রী সুখে দুঃখে সবসময় আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে থাকেন। খেলাধুলার উন্নয়নে যে কোনো ক্রীড়াবিদ বা সংগঠকের সমস্যায় তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। আজকের এ আয়োজনে আমরা উনার দেয়া এক কোটি দশ লাখ টাকার চেক, সঞ্চয়পত্র ও ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র বিতরণ করেছি। এই সহযোগিতার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পেয়ে বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায় বলেন, ‘আজকে এভাবে ঘোষণা হবে আমি ভাবিনি। বুঝতেও পারিনি। এটা আমাদের জন্য একটা চমক। আর বাদলের কাছে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন একজন মমতাময়ী মা। উনার যে উপহার পেলাম, তাও আমার জন্য অনেক বেশি। আমি আশাকরি প্রধামন্ত্রীর আশীর্বাদ আমার ছেলে ও মেয়ের উপর সবসময়ই থাকবে।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) মো. মোশাররফ হোসেন মোল্লা, এনএসসির সচিব মো. মাসুদ করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন