পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার স্যাম্পল টেস্ট করার সময় অবৈধভাবে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব সহকারী মোসা. লাকী আক্তারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত এ টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগকারী মো. মিলন তালুকদার জানান, তিনি, তার স্ত্রী ও ছেলে করোনা পরীক্ষার জন্য পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের ল্যাবে রক্ত দেন। এতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জনপ্রতি ফি ১০০ টাকা করে নির্র্ধারণ করা হলেও হাসপাতালের ল্যাব সহকারী মোসা. লাকী আক্তার অতিরিক্ত আরও ১০০ টাকা করে আদায় করেছে। কেউ দিতে অস্বীকার করলে উল্টো তাদের সাথে খারাপ আচরণ ও স্যাম্পল টেস্টে না পাঠিয়ে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়। এভাবে সে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
অভিযুক্ত মিলন তালুকদার আরো জানান, তিনি একটি ল্যাবের মালিক হিসেবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. জুনায়েদ হোসেন লেলিন তাকে টেস্টের টাকা ফ্রি করে দেয়। অথচ তাকেও ঘুষের ওই টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। তিনি মান সম্মানের ভয়ে ঘুষের ওই টাকা পরিশোধ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ল্যাব সহকারী মোসা. লাকী আক্তার অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে তিনি বলেন, আরএমও ডা. জুনায়েদ হোসেন লেলিনের স্লিপ অনুযায়ী এ টাকা নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে আরএমও ডা. জুনায়েদ হোসেন লেলিন জানান, একটি চক্র জনপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করতো। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে জরুরি মিটিং ডেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার জানান, সরকারি ১০০ টাকা ফি ব্যতীত কোন প্রকার অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে কেউ নিয়ে থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন