বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাবনায় ব্যবসার কথা বলে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

পাবনা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

পাবনায় হালাল উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। এ ঘটনায় তাকে শহরের আটুয়া থেকে আটক করেছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা অভিযুক্ত নারী শিক্ষিকার বাড়ি অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগীরা জানান, পাবনা পৌর এলাকার পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার শিক্ষিকা মোছা. সীমা আক্তার (৪০)। তিনি পৌর এলাকার আটুয়া হাউজ পাড়া মহল্লার মৃত হানিফুল ইসলামের স্ত্রী। এই শিক্ষিকা সাধারণ মানুষদের ইসলামী শরিয়া মোতাবেক গরুর খামার ও আরো নানা ধরনের হালাল উপার্জনের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি শুধু এলাকার সাধারণ মানুষই নয় বোকা বানিয়েছেন নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিক্ষক, পুলিশ সদস্যদেরও। মানুষ তার কথায় বিশ্বাস করে লাভের আশায় অর্থ বিনিয়োগ করে। লাভের অঙ্ক বেশি হওয়ায় লোভে পড়ে অনেকেই সেখানে অর্থ বিনিয়োগে করতে আগ্রহী হয়।
প্রথম পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে তাদেরকে লাভের অর্থ প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে টাকার অঙ্ক বেড়ে গেলে তিনি সমস্ত টাকা আত্মসাত করে গা ঢাকা দেন। এদিকে মাসিক লাভের অর্থ নিতে এসে ওই নারী ব্যবসায়ীকে না পেয়ে তখন সকলেই বুঝতে পারে তারা চরম প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এদিকে ওই প্রতারকের কাছে অর্থ দিয়ে অনেকেই এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানান। এই ঘটনার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই নারী প্রতারককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পরে ভুক্তভোগীরা পাবনা সদর থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। এই প্রতারক নারী শিক্ষিকা অনেকের কাছ থেকে চেক ও স্ট্যাম্পের মাধ্যমেও অর্থ নিয়েছেন।
তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই প্রতারক নারী ব্যবসায়ীর বৈধ কোন কাগজ পত্র পাওয়া যায়নি। তিনি স্বীকার করেছেন মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার বিষয়টি। তিনি এক জনের কাছে থেকে অর্থ নিয়ে আরেক জনকে দিয়েছে বলে জানান। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতারণার শিকার হওয়া মানুষ তাদের অর্থ ফিরে পাবার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন। এ ঘটনায় আটক হওয়া সীমা আক্তার বলেন, আমার কোন বৈধ ব্যবসা নাই। এক জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আরেক জনকে দিয়েছি। যারা টাকা দিয়েছে তাদেরকে সুদে অনেক টাকা লাভ দিয়েছি। মানুষ না জেনে না বুঝে আমাকে টাকা কেন দিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধা আখতার বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগের কারণে তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার প্রতারণার বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলো ভুক্তভোগীরা। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি।
অনেকেই তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ নিয়ে এসেছেন। ভুক্তভোগীরা তার বাড়িতে তাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন