করোনা সংক্রমণ কমে আসার সাথে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। বরিশাল মহানগরীতেই এখন মশার অবাধ রাজত্ব। ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা নিধনে বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ কোন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেরই বিশেষ কার্যক্রম লক্ষণীয় নয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা ফয়জুল করিমের সফরসঙ্গী মাওলানা আবদুর রাজ্জাক জিহাদী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি হন। তার রক্তে প্লাটিলেট ২০ হাজারে নেমে যাওয়ায় ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেন। এবার দক্ষিণাঞ্চলে এই প্রথম ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ১৬৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। মৃত্যু হল একজনের। তবে এর মধ্যে ১৩২ জন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেও চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৩২ জন।
গত কয়েক মাসের তুলনায় চলতি মাসের গত ১৫ দিনেই দক্ষিণাঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ অঞ্চলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যেখানে ৬৮ জন, সেখানে চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনেই আরো ৯৯ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৮ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর বাইরে বরিশাল জেলায় আরো ১৪, পটুয়াখালীতে ৩০, ভোলায় ১৭, পিরোজপুর ও বরগুনায় ৮ জন করে এবং ঝালকাঠিতে আরো ৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। আর গতকাল দুপুর পর্যন্ত ২৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার কথা জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর।
বরিশাল মহানগরীতে মশা নিধনের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাণি চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলামের সাথে আলাপ করতে তার সেল ফোনে যোগাযোগের বহু চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, রাজধানীর মত দক্ষিণাঞ্চলেও যে হারে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে অবিলম্বে মশক নিধনে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় আলাদা নজরদারির বিকল্প নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন