জকিগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা : জকিগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ ভোগান্তি চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। উপজেলার একাধিক এলাকায় দিন রাতেও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। পৌরবাসীসহ উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মানুষ সপ্তাহে টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎহীন সময় পার করছেন। ফলে উপজেলার সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
আসন্ন জেএসসি, জেডিসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ছোট বড় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। বিদ্যুতের কারণে অনেক এলাকার মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে বিঘœ ঘটছে। ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় ব্যাংক, বীমা’সহ সরকারী একাধিক অফিসের কার্যক্রম ইন্টারনেট নির্ভর হলেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তা বিরক্তিকর। প্রচন্ড গরমে অনেক স্কুল মাদ্রাসায় পুরো ক্লাস নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা শিক্ষকদের। প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় জন্ম মৃত্যুর নিবন্ধনকারীরা সনদ সংগ্রহ করতে গিয়েও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। জেলা শহর থেকে সবচেয়ে দূরবর্ত্বী উপজেলা জকিগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা দূর্ঘটনা ঘটলেও বিদ্যুতের কারণে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব হয়না।
বিদ্যুৎ যাওয়ার পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল নাম্বার। যান্ত্রিক ত্রæটির অজুহাত দেখিয়ে প্রতি সপ্তাহে বিদ্যুৎ অফিসের এমন আচরণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অব্যাহত রয়েছে। রাতের বেলায় গোটা উপজেলা প্রায়ই থাকে অন্ধকারে। ফলে উপজেলায় চুরি ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মিটার রিডারসহ পুরো জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগের শেষ নেই। পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের অবহেলায় গত একমাসে জকিগঞ্জে বিদ্যুৎ কর্মীসহ দুজনের প্রাণ গেছে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ইসহাক আলী জকিগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে বলে জানান। কিন্তু পুরো উপজেলায় কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, যে সময় যা প্রয়োজন তা সরবরাহ করা হয়। ৩৩ কেভি লাইনের কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন