শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

পদ্মার বুকজুড়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর চরহরিরামপুর ইউনিয়নের ‘নমুর ছাম’ নামক জলমহালের প্রায় আড়াই কি.মি. এলাকা বাঁশ ও জাল দিয়ে ঘিরে স্থানীয় জোদ্দার মোনায়েম খান (৫০), সোরহাব খান (৫৫) ও মোমিন আলী খান ওরফে মেলা খানসহ (৬০) প্রভাবশালী মহল গত ১০ দিন ধরে মৎস্য সম্পদ নিধন করে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা উপজেলা পদ্মা নদীর ওই পয়েন্টের ত্রিমুখী মোহনায় বাঁধ দিয়ে মৎস্য প্রজাতির চলাচলের পথ চতুর্পাশ আটকিয়ে একটি ফাঁদ জাল পেতে জাটকা ইলিশসহ সব প্রজাতির মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করে চলেছেন। এ ফাঁদে আটকা পড়ছে মণকে মণ রেণু পোনাসহ সব ধরনের মাছ।
গতকাল শনিবার পদ্মা নদীতে সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার পদ্মা নদীর ওই জলমহালের দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্ব দিকের ত্রিমোহনার প্রায় আড়াই কি.মি. জলমহাল বাঁশ ও জাল দিয়ে আটকানো হয়েছে। জলমহালের পূর্ব কোণে শুধু পনের হাত প্রশস্ততার পানিসীমানা খোলা রেখে পাতা হয়েছে বিশাল ফাঁদের জাল। পনের মিনিট পর পর ফাঁদ জাল উঠানো হচ্ছে। এতে প্রতি ধাপে প্রায় আর্ধমণ করে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ আটকা পড়ছে। ওই বাঁধে কর্মরত এক জেলে মজুর শহীদ সেখ জানান, ‘এলাকার প্রভাবশালী খান পরিবারের লোকজন মিলে এ বাঁধ দিয়েছেন।
মুঠোফোনে বাঁধ মালিকের এক অংশীদার মোনায়েম খান (৫০) জানান, আমরা উপজেলা মৎস্য অফিসকে অবগত করেই ১০ দিন ধরে মাছ ধরে চলেছি। উপজেলা মৎস্য অফিসার মালিক তানভির হাসান বলেন, ‘এ বাঁধের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রশাসক তা ফরোয়ার্ড করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ইউএনও কাগজটি আমার কাছে এখনো দেয়নি। কাগজটি হাতে পেলে তিনি পদ্মায় বাঁধ দেখতে যাবেন বলে জানান। আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা পারভীন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘অদ্ভুত কথা শুনলাম, এলাকাবাসীর অভিযোগের কাগজ লাগবে কেন, খবর শুনলেই তো মৎস্য অফিসার সরেজমিন বাঁধ ভেঙে দিতে পারেন। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন