স্পোর্টস ডেস্ক : ক’দিন আগেই ওয়ানডের শততম জয় উদযাপন করেছে বাংলাদেশ। সেই টালিটা আরেকটু লম্বা হতে পারতো ঐতিহাসিক এক জয় দিয়ে। অনেক হিসেব মেলানোর ইংল্যান্ড সফরের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের খুব কাছ থেকে মাশরাফিদের ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়ে। এমনটা এর আগেও অনেকবার হয়েছে, তবে গেলপরশু মিরপুরে যেটি হলো তার জন্য বোধকরি হতাশার আগুণে পুড়তে হবে বাংলাদেশকে আরো অনেকদিন। হোম অব ক্রিকেটে ৩০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতলে এই ভেন্যুতে ইতিহাস হতো বাংলাদেশের। তবে ‘একটুর’ জন্য ফসকে গেছে এমন সুযোগ। আর হারতে হারতে ‘বেঁচে’ গেছে ইংল্যান্ড। শুধু বাংলাদেশ নয়, ইংলিশ মিডিয়াতেও প্রাধান্য পেয়েছে এমন ম্যাচ। এই যেমন টেলিগ্রাফের চোখে ইংল্যান্ডের এই জয় ছিল ‘আনলাইকলি’ অসম্ভাবিত; যা সম্ভব হবে বলে ভাবাই যায়নি। একেবারেই শিরোনামেই তা উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ দৈনিকটি। শিরোনামে না উল্লেখ করলেও বিবিসি তাদের ম্যাচ রিপোর্টের শুরুতেই এই জয়কে বলেছে ‘রোমহর্ষক’। ডেইলি মেইলও তাদের লেখার শুরুতে উল্লেখ করেছে, ‘নিশ্চিত বড় পরাজয়ের মুখেই ছিল ইংল্যান্ড, যখন গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছিল বাংলাদেশ, ৩০৯ রানের পুঁজিকেও মনে হচ্ছিল অপর্যাপ্ত।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যে ম্যাচটাও হেরে গেল, এ যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না ইংলিশ মিডিয়ার। নিজ দলের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, অভিষিক্ত জ্যাক বলের দুর্দান্ত বোলিং, বেন স্টোকসের সেঞ্চুরি, জস বাটলারের প্রথম নেতৃত্ব- সবই তারা প্রশংসা করেছে। কিন্তু ঘুরে-ফিরে তবু যেন একটা অবিশ্বাসের প্রতিধ্বনি। এমনভাবে ম্যাচ হারল বাংলাদেশ! আরেক জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড ডেইলি সান যেমন লিখেছে, ‘জ্যাক বল ওয়ানডে অভিষেকেই ভোজবাজির মতো ইংল্যান্ডকে স্মরণীয় এক জয় এনে দিলেন, বন্ধুক আর নিরাপত্তা নিয়ে এত এত কথা অবশেষে হারিয়ে গেল গুগলি আর ছক্কার আলোচনায়।’
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশের মানুষদের ক্রিকেট উন্মাদনা আর ক্রিকেট আবেগের ছবিটা তারা তুলে ধরেছে এভাবে, বাংলাদেশ দলের প্রতিটি ভালো ও খারাপের মুহূর্তটাকে তুমুল গর্জন দিয়ে সমর্থন দিয়ে বলা ২৫ হাজার দর্শক বাজারের হট্টরোল বানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড সেটিকে বানিয়ে দিয়েছে লাইব্রেরির নিস্তব্ধতা। হতবিহŸল গ্যালারির নিস্তব্ধতাকে গার্ডিয়ান লিখেছে ‘পরীক্ষার হল’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন