লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বরণ করতে গেলে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার গণকবর ও জেলেপল্লী নামক এলাকায় যুবলীগের প্রতিপক্ষের হামলায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর, সদর (পূর্ব) থানা যুবলীগের প্রথম যুগ্ম আহŸায়ক রুপম হাওলাদারসহ ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে নেয়া হয়েছে। বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে প্রার্থীতা ঘোষণা করায় প্রচার-প্রচারণা চালানোর কারণে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু এবং তার অনুসারীর এ হামলা চালিয়েছে বলে আহতরা জানায়।
সূত্র জানান, দুপুরে শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে প্রায় চার বছর পর প্রথম জেলা যুবলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বর্ধিত সভা হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী ও সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন রিগ্যানসহ দলের নেতারা অংশ নেয়। এজন্য ১০ জন সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা প্রার্থীতা ঘোষণা করে নেতাদের শুভেচ্ছো জানিয়ে শহরে বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার- ফেস্টুন করে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্ধকে বরণ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রামগঞ্জ-ল²ীপুর সড়কের পাশে দাঁড়ালে যুবলীগ সভাপতি টিপুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
ইউনুছ হাওলাদার রুপক অভিযোগ করে বলেন, সালাহ উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে লোকজন মোটরসাইকেলে এসে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এতে আমি ও সৈয়দ বাবরসহ ১০-১২জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, বাবরের সঙ্গে আমার বাদানুবাধ হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি। ল²ীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিপন বড়–য়া বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। বিশৃঙ্খলার ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন