চলতি বছরের শেষ দিকে দেশে ৫-জি সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। নিউইয়র্কে বিজনেস রাউন্ড টেবিলে তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ পরীক্ষামূলকভাবে আমাদের ৫জি প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেহেতু সরকার শেষ প্রান্তের মানুষের কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, সে হিসেবে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও ব্যান্ডউইথের ঘাটতিও নেই। তিনি বলেন, আমাদের প্রচুর সক্ষমতা ও অপটিক্যাল ফাইবার রয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, শেষ প্রান্তের ব্যবহারকারীরা ফিক্সড লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। তারা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এ জন্য আমরা স্পেকট্রাম ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতির চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। ঘন-জনবসতির কারণে আমাদের ব্যাপক জায়গায় এই সংযোগ দিতে হবে এবং অতিরিক্ত সংযোগ নিলামের মাধ্যমে দিতে হবে। আর এ জন্য আমরা মোবাইল অপারেটরদের জন্য অধিক স্পেকট্রাম অবাধ করে দিচ্ছি।
বাংলাদেশ কয়েক বছর আগে ৪জি চালু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা আশা করছি যে,অতিরিক্ত স্পেকট্রাম ব্যবহার করে মোবাইল অপারেটরগুলো দুর্গম গ্রামীণ এলাকায় ৪জি চালু করতে পারবে। একত্রে ৪জি ও ৫জি’র মাধ্যমে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শেষ সীমানা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু দেশের মধ্যেই প্রচুর সক্ষমতা ও ফাইবার আছে।
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে বিজেনস রাউন্ড টেবিলের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিগত দুই বছরে তারা অনলাইন আইডেন্টিটি (কেওয়াইসি) চালু করেছে এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই আরেকটি সেবা চালু করেছে। যার ফলে বাংলাদেশের যেকোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা আরো বলেন, এখনও পর্যন্ত অর্থাৎ এই সেবা শুরুর আগে, এই পেমেন্ট করতে দুই দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতো। রাউন্ড টেবিলে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে এই সেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হবেন না। আপনাদের সিস্টেম এই সেবাগুলোর সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে সক্ষম। তবে আরও কিছু ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমও পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এদের মধ্যে একটি হচ্ছে আইডিপিপি-যার ফলে দেশে আন্তঃসংযোগের জন্য এমএফএস করা সম্ভব হবে। তাই আমরা এই সেবাগুলো চালু করার প্রক্রিয়ায় রয়েছি এবং আপনাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। আপনাদের এ ব্যাপারে কোনও পরামর্শ থাকলে দিতে পারেন। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন