২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলের ওই পাঁচ বছর বাংলাদেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দেয়ার সময়কাল বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। পোস্টটিতে ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের পাঁচ বছরের হত্যা, নির্যাতন, দখল, দলীয়করণ, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, ব্যাপক লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার, জঙ্গি উত্থান গ্রেনেড হামলার মতো ঘটনার ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, বিএনপি জামায়াত জোটের এই ৫ বছরে বাংলাদেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এ কথা কি সত্যি নাকি শুধুই রাজনৈতিক বক্তব্য? সেই সত্য ঘটনাগুলোই আপনাদের সামনে আসবে এক এক করে। হত্যা, নির্যাতন, দখল, দলীয়করণ, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, ব্যাপক লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার, জঙ্গি উত্থান গ্রেনেড হামলার মতো এত ব্যাপক ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশে আর ঘটেনি, যা হয়েছে সেই ৫ বছরে।
একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেন, নিয়মিতভাবেই আপনাদের সামনে নিয়ে আসব বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের দুঃশাসনের ইতিহাস। সাধারণ মানুষ কতোটা নিষ্পেষিত ছিল তা জানতে পারবেন তাদের মুখেই। চোখ রাখুন আমার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আর মন্তব্য করুন কমেন্ট বক্সে।
এতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের কিছু সাক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে এক ব্যক্তি বলছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার পাঁচ বছরে বিএনপি সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সেই সরকারের আমলে স্কুলের শিক্ষক নিহত, ছাত্র খুন, সাংবাদিকরা নির্যাতিতসহ সবক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে।
আরেকজন বলেন, আমি তারেককে (খালেদা জিয়ার ছেলে) ৫০ টি হোন্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। এখন তিনি একেবারে নতুন গাড়ির মালিক। এ গুলো কোথা থেকে এসেছে? এ গুলো এসেছে দুর্নীতির মাধ্যমে। অন্য একজন পর্যবেক্ষণ করেছেন যে তারেক অর্থ পাচার করে এশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন।
পোস্টে তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান হাওয়া ভবনকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্যারালাল কেন্দ্রে পরিণত করে এই ভবনকে ঘুষ, পার্সেন্টেজ দেওয়ার অঘোষিত নিয়মে পরিণত করেছিল। ব্যাপক দলীয়করণ ও সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে সাধারণ জনগণের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন