বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কক্সবাজারে হচ্ছে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন

পর্যটন আকর্ষণ বাড়বে

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের রেলস্টেশন। সাগর পাড়ে বিশাল আকৃতির এক ঝিনুক। তার পেটের মধ্যে মুক্তার দানা। এমন আকৃতির নকশায় কক্সবাজার রেলস্টেশন নির্মিত হচ্ছে। কক্সবাজার বাস টার্মিনালের বিপরীতে চৌধুরীপাড়ায় এই নান্দনিক রেলস্টেশন ভবনের নির্মাণের কাজ দ্রæত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে সরকার যে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনা তারই অংশ।
কিছুদিন আগেও যেখানে ছিলনা রেললাইন, সেই সাগরপাড়েই এবার হচ্ছে ট্রেনের দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। কক্সবাজারের অংশে এগিয়ে যাচ্ছে রেল লাইন নির্মাণ কাজ। কক্সবাজার বাস টার্মিনালের পাশেই একটি বড়সড় ঝিনুক তৈরি করছে রেলওয়ে। ঝিনুকটির দুই অংশের মাঝে ফাঁকা থাকবে ছয় তলা উচ্চতার সমান। এই ঝিনুকটির পেটেই হবে মূল স্টেশন, যেখানে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনের সব সুবিধা। চট্টগ্রামের দোহাজারি-কক্সবাজার এবং কক্সবাজার-ঘুমধুম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, দ্বিতীয় তলার ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করে যাত্রীরা উঠবেন ট্রেনে। ৬ তলা স্টেশন ভবনে যাত্রীদের ওয়েটিং রুম, শিশু যতœ কেন্দ্র, শিশুদের খেলার জায়গা, রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল, মিলনায়তনসহ আধুনিক সব সুবিধা থাকবে এখানে।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পের অধীনে নির্মিত হচ্ছে ঝিনুক আকৃতির এই স্টেশন। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নান্দনিক নির্মাণশৈলীর এই স্টেশনটি চালু হলে সৈকতের নগরীতে পর্যটক বহুগুণ বাড়বে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনে প্রথমে হবে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত। রামু হবে জংশন। আর সেখান থেকে একটি লাইন চলে যাবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। তখন ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে পৌঁছানো যাবে কক্সবাজারে। পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার থেকে আরেকটি লাইন পূর্ব দিকে যাবে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুমে। ২০২০-২২ সালের মধ্যেই সব কাজ শেষ হওয়ার কথা। আর এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্ক ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে যুক্ত হবে বাংলাদেশের রেলপথ। এ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক মিয়ানমার-বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-ইরান হয়ে যাবে ইউরোপের তুরস্ক পর্যন্ত।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, রেললাইন দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের নিকটে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৮টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। তাই এ প্রকল্পটির দ্রæত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। রেললাইন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও হাজার হাজার পর্যটক কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামে জড়ো হবে। এ প্রকল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপনা হবে ঝিনুক আকৃতির কক্সবাজার রেলস্টেশন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত থাকবে ৯টি রেলস্টেশন হচ্ছে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Sha emran ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৪৬ এএম says : 0
ছৌধুরী পাড়া নয় (চাঁন্দের পাড়া ই হবে )
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন