হামাসকে সহায়তা করে এমন বিপুল পরিমাণ সম্পদ দখল করেছে সুদানি কর্তৃপক্ষ। বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। হামাসকে সহায়তা করে এমন অনেক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সুদানি কর্মকর্তারা। ২০১৯ সালে সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটির কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপ পশ্চিমাদের সাথে তাদের সম্পর্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে হচ্ছে।
পশ্চিমাদের সন্তুষ্ট করার জন্য সুদানি কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই এসব কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে গত বছর মার্কিন কর্তৃপক্ষ সুদানকে উগ্রবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছিল। এছাড়া সুদানের পঞ্চাশ বিলিয়ন ডলারের ঋণ মওকুফ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সুদানি ও ফিলিস্তিনি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সুদানি কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপের ফলে হামাস সদস্যরা তাদের একটি বিদেশী ঘাঁটি হারাল। এখানে হামাস সমর্থক ও সদস্যরা অবস্থান করতেন। এখান থেকে গাজা উপত্যকার জন্য অর্থ, তহবিল ও অস্ত্র সরবরাহ করা হতো।
এসব জব্দকৃত সম্পদের পূর্ণ বিবরণ দিয়েছেন সুদানি কর্মকর্তারা। আর পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো এই বিষয়টি দেখিয়েছে যে কিভাবে অর্থ হামাসের কাছে পাচার করা হতো। জব্দকৃত এসব সম্পদের মধ্যে আছে আবাসন ব্যবসা, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, খার্তুম শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হোটেল, মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, টিভি স্টেশন ও ১০ লাখ একরের বেশি কৃষিজমি।
হামাসের সাথে সম্পর্কিত এসব সম্পদ জব্দ করার কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ওয়াগদি সালেহ বলেন, সুদান ছিল অর্থপাচার ও উগ্রবাদীদের (হামাস) পৃষ্ঠপোষকতার কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, আব্রাহাম অ্যাকোর্ড নামের চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর ফিলিস্তিন ও হামাসবিরোধী এসব কর্মকাণ্ড শুরু করেছে সুদান। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন