ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও দলটির কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি, তা কমিয়েছে আপিল কমিটি। তবে আরামবাগ কর্মকর্তাদের শাস্তি বহাল রাখা হয়েছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করে বাফুফে।
স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই বছর প্রথম বিভাগ লিগে খেলা বাধ্যতামূলক করে গত ২৯ আগস্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছিল বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। প্রথম বিভাগ লিগে খেলে আরামবাগ চ্যাম্পিয়ন হলেও তা দুই বছর কার্যকর হবেনা- আগে এমন সিদ্ধান্তই ছিল। তবে আরামবাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে জরিমানা ৫ লাখ টাকা বহাল রেখে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে প্রমোশনের সুযোগ করে দিয়েছে আপিল কমিটি। অন্যদিকে ক্লাবটির কয়েকজন ফুটবলারকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করেছিল বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এদের মধ্যে আরামবাগের গোলরক্ষক আপেল মাহমুদ (৫ বছরের জন্য) আবুল কাশেম, আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, শামীম রেজাকে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এছাড়াও দলটির খেলোয়াড় ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মিরাজ মোল্লাকে ২ বছরের জন্য ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারের কথা বিবেচনা করে তাদের শাস্তি কমিয়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাফুফের আপিল কমিটি। অর্থাৎ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফুটবল সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে হবে তাদের। তবে যে সব খেলোয়াড় আপিলের জন্য নির্ধারিত ১০ হাজার টাকা ফি জমা দেননি, তারা আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে তা পরিশোধ করে আপিল কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। তা না হলে তাদের জন্য ডিসিপ্লিনারি কমিটির দেয়া শাস্তিই বহাল থাকবে। এই তালিকায় আছেন- আপেল, মিলন, রকি, জাহিদ, সৈকত, শামীম ও ওমর ফারুক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন