চট্টগ্রাম ব্যুরো : এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনে পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন বøু। এর সামনে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকে পুলিশ-র্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সাত-সকালে এদের উপস্থিতি দেখে রাস্তার লোকজনদের ধারণা কোন ভিআইপি এখান থেকে বের হচ্ছে। ঠিক সকাল সাড়ে ৮টায় দেখা গেল পুলিশ-র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বাসকে স্কট দিয়ে রেডিসন বøু থেকে বের করা হচ্ছে। এ গাড়ির বহরটি ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনে পৌঁছলে আড়াআড়ি করে একটি পিকআপ রাস্তায় পড়ে থাকলে বহরটি আটকে যায়। সাথে সাথেই পুলিশসহ অন্যান্য সদস্যরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসটিকে ঘিরে ফেলে। এরপর ক্রেনের সাহায্যে পিকআপটি সরিয়ে নেয়া হয়। এ বহরটি আবার যাত্রা শুরু করলে লালখান বাজারের মুখে হঠাৎ বিকট আওয়াজে ফুটল দু’টি সাউন্ড গ্রেনেড। তখন এখানকার অনেকের মধ্যে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। পরে এখানকার লোকজন বুঝতে পারলো যে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ দল আজ চট্টগ্রামে আসছে। এ দল দু’টি চট্টগ্রামে একটি ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ খেলবে। তাদের নিñিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশ-র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে ১৫ মিনিটের মহড়া দিয়েছে। এ মহড়ায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসটি ছিল খেলোয়াড় বহনকারী। এরপর আরো একটি মহড়া হয়েছে ক্রিকেট ভেন্যু জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। সেখানে খেলার সময় নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে কীভাবে খেলোয়াড়দের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হবে, তারও আরেকদফা হয়েছে মহড়া। মূলত এ দু’টি মহড়ার মধ্য দিয়ে যেকোন নাশকতা মোকাবিলা করে কিভাবে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে সিরিজটি সফলভাবে শেষ করা যায় তা দেখানো হলো। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মহড়াটি পুলিশ কমিশনার প্রত্যক্ষ করেছেন। মহড়া শেষে সাংবাদিকদের বলেন, খেলা চলাকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৮শ’ ফোর্স দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া থাকবে প্যারা কমান্ডো ও সোয়াতের বিশেষ টিম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন