বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২১ উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:৩৯ পিএম

‘হৃদয় দিয়ে হৃদয়ের যত্ন নিন’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনে এবছর বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপন করেছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার) বেলা চারটায় ওয়েবিনারের মাধ্যমে একটি ভার্চুয়াল গণমুখী সেমিনার আয়োজন করা হয়। ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, দেশে চিকিৎসা সেবার বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে হৃদরোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে তা জেলা পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে।

ওয়েবিনারে জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক বলেন, দেশে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত যে অবকাঠামো রয়েছে তা অত্যন্ত শক্তিশালী। এটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে হৃদরোগসহ অন্যান্য যেকোনো রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। হৃদরোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অনেকের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব হয় না। সেজন্য হতদরিদ্রদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিৎ। অন্যদিকে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করা যেতে পারে।

অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, আমাদের দেশে ৪.৫ থেকে ৫ শতাংশ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত। হৃদরোগের পিছনে সবচেয়ে বড়ো তিনটি কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ, তামাক ব্যবহার ও লিপিড প্রোফাইল। আমাদেরকে হৃদরোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি জোর দিতে হবে। হৃদরোগসহ অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বর্তমান সরকার ২০১৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। হৃদরোগ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে বর্তমানে সিলেট বিভাগ এবং জামালপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার ৫৪টি উপজেলায় উচ্চ রক্তচাপ কর্মসূচি চলমান, যেখানে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সারাদেশের সব উপজেলায় ধীরে ধীরে এই কর্মসূচি বিস্তৃত করা হবে।

ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। তিনি বলেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ হৃদরোগের চিকিৎসা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে এই ফাউন্ডেশনের ৪৫টি অ্যাফিলিয়েটেড বডি রয়েছে, যারা তৃণমূল পর্যায়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে কাজ করছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী।

এদিকে, বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হতে প্রতিদিন বিভিন্ন টেলিভিশন, এফএম রেডিও এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ফেইসবুক পেজে হৃদরোগ বিষয়ে সচেতনতামূলক লাইভ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এসব আলোচনায় হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ হৃদরোগের নানা কারণ ও তা প্রতিরোধে করণীয় তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি হৃদরোগ বিষয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট ও মুঠোফোনে সচেতনতামূলক খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ফাউন্ডেশনের অ্যাফিলিয়েটেড বডিগুলো নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন