চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) ও মিন্টু ওরফে কালুর (৫০) ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এই দুজনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় রাত পৌনে ১১টায়।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের দুজনকে ধর্ষণ করা হয়।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ধর্ষিত ওই নারীকে হত্যা করা হয়। শুধু তা-ই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাদের গলাও কাটা হয়।
এই পৈশাচিক ঘটনায় নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম খুনের পর দিন আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দুজন হলেন- একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন থাকাকালে আসামি মহি মারা যান।
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইক্যুনাল সুজন, কালু ও মিন্টুকে মৃত্যুদ-াদেশ দেন। এর পর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে বেকসুর খালাস দেন। গত ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন।
পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু ও মিন্টু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। কিন্তু তা নামঞ্জুর হয়। ফলে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয় খুনি ও ধর্ষক কালু ও মিন্টুর।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের এ সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন বা তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন