ভুল তথ্য, সাইবার বুলিং ও করোনা সম্পর্কে মিথ্যা ছড়ানোসহ পাঁচ ধরনের ভিডিও দিলেই ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউটিউব। ভিডিও শেয়ারিং সাইটটি এর আগে জানিয়েছিল, ইউটিউব থেকে সমস্ত ভ্যাকসিন-বিরোধী কনটেন্ট ব্লক করা হবে। এবার আলোচনায় উঠে এসেছে ইউটিউবের পাঁচ নীতিমালার কথা।
জানা গেছে, ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভুল তথ্য দিলে, জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করলে, নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ালে, হয়রানি ও সাইবার বুলিংয়ের উদ্দেশ্যে ভিডিও তৈরি করলে এবং করোনা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ালে- ব্যবস্থা নেবে ইউটিউব। এতে ভিডিও সরিয়ে নেওয়াসহ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইউটিউবের নিজস্ব চ্যানেল ‘YouTube Creators’ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যেসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা :
১. ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভুল তথ্য দিলে : অনুমোদিত যেকোনো ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভুল তথ্য দিলেই ভিডিও মুছে ফেলবে ইউটিউব। ভিডিওতে যদি কোনো অনুমোদিত ভ্যাকসিনকে বিপজ্জনক কিংবা অটিজম ও ক্যানসার বা বন্ধ্যত্বের কারণ বলা হয়- তবে তা সরিয়ে ফেলা হবে। ২০২০ সাল থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার এমন ভিডিও সরিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউটিউবের মূল প্রতিষ্ঠান গুগল।
২. জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করলে : দ্বিতীয়ত, জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করে ভিডিও দিলে বিজ্ঞাপন দেখাবে না ইউটিউব। এরই মধ্যে গুগলে বিজ্ঞাপনদাতা, প্রকাশক এবং ভিডিও নির্মাতাদের জন্য মানিটাইজেশনবিষয়ক নতুন নীতিমালা চালু করেছে ইউটিউব। এই নীতিমালার আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্ব এবং কারণ নিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অস্বীকার করে তৈরি করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে না।
৩. নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ালে : ইউটিউবে ভোটারদের নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। নির্বাচিত হওয়ার আগেই কাউকে নির্বাচিত বলে ভিডিও বানানো যাবে না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক গোপন তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।
৪. হয়রানি এবং সাইবার বুলিংয়ের উদ্দেশ্যে তৈরি ভিডিও : ইউটিউবে হয়রানি, হুমকি কিংবা অন্যকে বুলিং করার উদ্দেশ্যে তৈরি ভিডিও নিষিদ্ধ। সাইবার বুলিং-এর জন্য কারও ভিডিও ধারণ করা কিংবা ভিডিওতে কারও ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়াও নিষিদ্ধ। কম বয়সীদের (সচরাচর ১৮ বছরের নিচে) অহেতুক লজ্জা দেওয়া, ছোট করা, অপমান কিংবা তাদের সঙ্গে প্রতারণাও করা যাবে না। এছাড়া অন্য একটি ভিডিওতে বিদ্বেষমূলক কমেন্ট করার জন্য কাউকে বলাও যাবে না।
৫. করোনা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ালে : করোনা নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা দাতা সংস্থা কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্যের সঙ্গে অসংগতিমূলক তথ্য ইউটিউবে প্রচার নিষিদ্ধ। বিশেষ করে কোভিড-১৯ চিকিৎসা, প্রতিরোধ, রোগনির্ণয়, সংক্রমণ, সামাজিক দূরত্ব এবং সঙ্গনিরোধবিষয়ক নির্দেশনা অমান্য করা যাবে না। এবিষয়ে ২০২০ সালের ২০ মে নীতিমালা প্রণয়ন করে ইউটিউব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন