শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

সাংবাদিকরাই আমাকে আজকে মাহি বানিয়েছে ইউটিউবাররা নয়- মাহিয়া মাহি

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

এখন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট যেকোনো অনুষ্ঠানে ইউটিউবারদের ভিড়ে ঠিকমতো অনুষ্ঠান করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাদের ভিড়ে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বিঘ্ন ঘটছে। অনুষ্ঠান কাভার করতে গিয়ে বিভ্রতকর পরিস্থিতি ও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। দেখা যায়, এফডিসিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান ও প্রেস কনফারেন্সে ইউটিউবাররা দল বেঁধে হাজির হয়। আমন্ত্রণ না জানালেও তারা গিয়ে ভিড় করে। এ সপ্তাহে মুক্তিপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘যাও পাখি বলো তারে’ সিনেমার প্রেস কনফারেন্সে গিয়ে ইউটিউবারদের ভিড়ে সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়ে। এতে উপস্থিত সাংবাদিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে প্রেস কনফারেন্স বর্জন করতে চাইলে মানিক তাদের অনুরোধ করেন এবং ইউটিউবারদের সংবাদ সম্মেলন থেকে চলে যেতে বলেন। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখানে ইউটিউবারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি সংবাদ সম্মেলন, ইউটিউবারদের সম্মেলন নয়। তিনি ইউটিউবারদের অনুষ্ঠান থেকে চলে যেতে বলেন। এতে কোনো কোনো ইউটিউবার বলেন, তারা আমন্ত্রণ পেয়ে এসেছেন। মানিক তাদের আমন্ত্রণ পত্র দেখাতে বললে তারা তা দেখাতে পারেননি। ফলে তাদের বের হয়ে যেতে বলেন। মানিক এ সময় ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, ইউটিউবারদের নেতিবাচক কন্টেন্টের শিকার হয়েছেন তিনি। তারা তাকে নেতিবাচকভাবে বিভিন্ন ভিডিওতে উপস্থাপন করেছেন। এ বক্তব্য দেয়ার পরও ইউটিউবাররা প্রেস কনফারেন্স ত্যাগ করেনি। অন্যদিকে, সিনেমাটির নায়িকা মাহিয়া মাহি বক্তব্য দিতে উঠে ইউটিউবারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আজকের যে মাহিয়া মাহি তা সাংবাদিক ও মিডিয়ার কল্যাণে হয়েছি। তারাই আমাকে দর্শকের সামনে তুলে ধরেছেন। এক দশকের বেশি সময় আগে আমি যখন চলচ্চিত্রে আসি, তখন ইউটিউবাররা ছিল না। আমাকে সাংবাদিক ভাই ও বিভিন্ন মিডিয়া তুলে ধরেছেন। তাদের সহযোগিতায়ই আমি আজকের অবস্থানে এসেছি। এতে ইউটিউবারদের কোনো ভূমিকা নেই। উল্লেখ্য, ইউটিউবারদের ভিড়ে এই সময়ে শোবিজের অনুষ্ঠান করা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের আমন্ত্রণ না জানালেও সেখানে গিয়ে হাজির হয়। অনেক ইউটিউবার তীর্থের কাকের মতো অনুষ্ঠানে গিয়ে ক্যামেরা চালিয়ে বসে থাকে। বক্তব্য চলাকালে অসাবধানতা বশত কেউ কোনো বেফাঁস কথা বলে ফেললে বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলে তা ধারণ করে নেতিবাচক হেডিং দিয়ে ভিডিও বানিয়ে নিজেদের ইউটিউবে চালিয়ে দেয়। যে কথা সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার এথিক্স থেকে প্রচার করে না, সে কথা ইউটিউবাররা অবলীলায় চালিয়ে দেয়। এতে উক্ত নায়ক-নায়িকা, পরিচালক ও কলাকুশলীরা সম্মানহানি ও বিভ্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন। আবার অনেকে আছেন, ইউটিউবার পেলেই স্বেচ্ছায় এবং না বুঝে নানা কথা বলেন। এতে কোনো দায়িত্ববোধ না থাকায় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন