দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পূর্ণ করেছে। এ উপলক্ষ্যে বিশেষ উদযাপনের আয়োজন করে জি-সিরিজ পরিবার। গত ৫ মার্চ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটির চার দশক পূর্তি অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের তারকারা। সঙ্গীতাঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা (মরণোত্তর) দেয়া হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনীকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে। তাদের সন্তানরা এ সম্মাননা গ্রহণ করেন। চার দশক পূর্তির শুভেচ্ছা জানিয়ে জি-সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ বলেন, রেডিও, টিভি, সিনেমা সব মিলিয়েই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। এই চল্লিশ বছর চলার পথে অনেক বাধা ও প্রতিকূলতা পেরোতে হয়েছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও, আমরা এমন ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে পারিনি যে, শিল্পীরা স্বাবলম্বী হতে পারে। তিনি বলেন, কেউ তারকা হয়ে গেলে অন্যজনকে হেল্প করে না। এটা দুঃখজনক। যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের সঙ্গে থাকব। উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে জি-সিরিজ প্রতিষ্ঠা করেন শিল্প অনুরাগী নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ। তার মেধা, মনন এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশের প্রথম সারির একটি প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে সুনামের সঙ্গে এগিয়ে চলছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত বহু গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পীর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে জি-সিরিজ থেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন