শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ধোনির শেষ ঝড়ে ফাইনালে চেন্নাই

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

ঘড়ির কাটা যেন ঘুরল উল্টো দিকে। টাইম মেশিনে চেপে মহেন্দ্র সিং ধোনি ফিরে গেলেন তার সেরা সময়ে। যখন তিনি ছিলেন সেরা ফিনিশার। শেষের জটিল সমীকরণ নিয়মিতই মেলাতেন ব্যাট হাতে ঝড় তুলে।
গতপরশু রাতে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে চেন্নাই সুপার কিংসের দারুণ জয়ে শেষ সময়ের ভাগ্য গড়ে দেন ধোনি। মাত্র ৬ বলে অপরাজিত ১৮ রানের দুর্দান্ত ক্যামিও খেলেন চেন্নাই অধিনায়ক। আর তাইে রেকর্ড নবমবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে ওঠে চেন্নাই।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১৭৩ রান তাড়ায় চেন্নাইকে এগিয়ে নেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও রবিন উথাপা। অভিজ্ঞ উথাপাও নিজের সেরা সময়কে মনে করিয়ে দিয়ে খেলেন ৪৪ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। তবে তার বিদায়ের পর পিছিয়ে পড়তে থাকে চেন্নাই। ৫০ বলে ৭০ করে যখন রুতুরাজ আউট হলেন, চেন্নাইয়ের তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ১১ বলে ২৪ রান। সেই সময়ে উইকেটে যান ধোনি।
রবীন্দ্র জাদেজাকে না নামিয়ে ধোনির ব্যাটিংয়ে নামা বিস্ময় জাগায় প্রবলভাবেই। এবারের আইপিএলের ধোনি তো ছিলেন অতীতের কঙ্কাল! এই ম্যাচের আগে ১০ ইনিংসে তার রান ছিল ১৩.৭১ গড়ে কেবল ৯৬। স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ৯৫.০৪। সবশেষ দুই ম্যাচে তার রান ১৫ বলে ১২ ও ২৭ বলে ১৮। ধুঁকতে থাকা সেই ধোনিকে ফর্মে থাকা জাদেজার আগে নামতে দেখে প্রশ্ন তোলেন ধারাভাষ্যকাররাও। প্রথম বলে আভেশ খানের স্লোয়ারে যখন সজোরে চালিয়েও ব্যাটে-বলে করতে পারলেন না ধোনি, শঙ্কা তখন বেড়ে গেল আরও। তবে পরের বলেই সপাট পুল শটে ছক্কা মেরে বুঝিয়ে দিলেন, এবার তিনি অন্যরকম।
আভেশের পরের বলটি আবার লাগাতে পারেননি ব্যাটে। শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন পড়ে ১৩ রানের। প্রথম বলেই সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মঈন আলি। প্রান্ত বদলে স্ট্রাইক পান ধোনি। ব্যস, পরের তিন বলেই তিনি শেষের নায়ক। ধোনির টানা তিনটি বাউন্ডারি আর একটি ওয়াইড মিলিয়ে চেন্নাই জিতে যায় দুই বল বাকি রেখেই।
ধোনির ব্যাটে পুরনো দিনের সেই ঝলক দেখে বিরাট কোহলির রোমাঞ্চিত উচ্চারণ, ‘দা কিং ইজ ব্যাক।’ ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই বিরাট কোহলির টুইট, ‘অ্যান্ডডডড.... দ্য কিং ইজ ব্যাক! খেলাটির সর্বকালের সেরা ফিনিশার। আজকে আবারও আমাকে চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠতে বাধ্য করেছেন...।’ ম্যাচ শেষে ধোনি বললেন, কিছু একটা করার তাড়না অনুভব করছিলেন তিনি নিজেও, ‘আমার ইনিংসটি গুরুত্বপ‚র্ণ ছিল। দিল্লির বোলিং আক্রমণ খুব ভালো। কন্ডিশন খুব ভালো কাজে লাগিয়েছে তারা। আমার মনে হয়েছিল, কাজটা কঠিন (রান তাড়া)। এজন্যই চেয়েছি, ব্যাটসম্যানরা যেন শেষ পর্যন্ত খেলাটা টেনে নেয়। আমার ব্যাপারটি ছিল, ‘বল দেখো, মেরে দাও।’ টুর্নামেন্টে খুব বেশি কিছু করতে পারিনি আমি। আজকে (পরশু) বোলারদের দেখা, তারা কি করার চেষ্টা করছে, তা বোঝার চেষ্টা করা ছাড়া আর বেশি কিছু ছিল না ভাবনায়। খুব বেশি কিছু মাথায় ঘুরতে থাকলে কাজ আরও কঠিন হয়ে ওঠে।’ সেই কঠিন কাজটিই সহজে করে দলকে আরো একবার ফাইনালে মঞ্চে তুললেন হয়তো এবারই শেষ আইপিএল খেলতে নামা ‘ক্যাপ্টেন কুল’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন