ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনিয়া আক্তার নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত ১টার দিকে শহরের কাউতলী একটি হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। সে নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে। তবে পুলিশের ধারণা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় তার প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, সোনিয়া আক্তার প্রায় তিন বছর আগে আল ফালাহ হাসপাতালে সহকারী নার্সের পদে যোগদান করেন। এর পাশেই রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের স্টাফ মোহাম্মদ শীতলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শীতলের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার নেমতাবাদ গ্রামে। গত দুইবছর যাবত সোনিয়া ও শীতলের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি শীতল জানতে পারে সোনিয়া আরও একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহ থেকে দুজনের মাঝে মনোমালিন্য চলছিল। গত রোববার সন্ধ্যায় তারা শহরের দাতিয়ারার ফারুকী পার্কে দেখা করেন। কথাকাটির এক পর্যায়ে সোনিয়াকে একটি থাপ্পড় দেয় শীতল। এরপর সোনিয়া তার হাসপাতালে গিয়ে ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করে।
এই ঘটনায় শীতলকে আটক করেছে পুলিশ। সোনিয়ার মামা মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নি আত্মহত্যা করেছে নাকি শ্বাসরুদ্ধকরে করে হত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ হাসপাতালের কেউ আমাদের কিছু এখনো জানায়নি এবং মর্গেও তারা কেউ আসেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি সে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় এক তরুণকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন