এবারের দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের ‘সহিংসতা বা সমস্যা হয়নি’ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, হিন্দুদের মন্দিরে যারা হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল শনিবার রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন। সম্মেলনে রাজধানীর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের শাসনামলের গত ১২ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের ‘সহিংসতা বা সমস্যা হয়নি’ দাবি করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এই অপকর্ম সৃষ্টি করেছে। যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। হিন্দুদের মন্দিরে যারা হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না তাদের গাত্রদাহ হওয়াই স্বাভাবিক। ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে একটি মহল ধর্মের মূল চেতনাবিরোধী তৎপরতার মাধ্যমে বারবার সহিংসতার সুযোগ খুঁজছে তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।
‘সরকার এসব তাণ্ডবে জড়িত’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চান। সরকার দেশে স্থিতিশীলতা চায়। সরকার কোন দুঃখে এসব করতে যাবে? দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীল তৈরির যে অপচেষ্টা হচ্ছে। এর পেছনে যারা মদদ দিচ্ছে, সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী ও নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনও কোনও জেলা থেকে তথ্য গোপন করে যারা বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বর্তমানে যারা দলে বা নির্বাচনে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের হারানোর কিছু নেই। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে শেখ হাসিনা তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন।
আওয়ামী লীগের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যতক্ষণ নেতৃত্বে আছেন কারো শ্রম-ত্যাগ বৃথা যাবে না। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। নির্বাচনে অভিযোগের পাহাড় বা স্তূপ জমা হয়ে আছে। দফায় দফায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। প্রায় ৪০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে ১৫টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। অভিযোগ করলেই যে সব সত্যÑ এমনটাও মনে করার কিছু নেই।
‘নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে’ নিজের পক্ষে রাখতে গিয়ে বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে না পাঠাতে স্মরণ করে করিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুর হাকিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আবদুর রহমান, মাহবুব-উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, সিদ্দিকুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামিম, ইকবাল হোসেন এবং রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন