আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি মেনে নিতে না পেরে সারা দেশে সিরিজ বৈঠকের নামে সিরিজ সন্ত্রাস করছে। তারা সারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে।
আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সর্ব দিকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের দরবারে সন্মানিত। দেশের এ উন্নয়ন দেখে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শঙ্কিত হচ্ছে। তারা কোন ভাবে দেশের অগ্রযাত্রা মেনে নিতে পারছেনা। তাই তারা সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেষ্টা করছে।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি জামায়াত রাতের আধারে মন্দিরে গিয়ে পবিত্র কোরআন রেখে আসে। আবার তারাই ভোরে গিয়ে সেটির ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে। তাদের মদদে কুমিল্লা, ফেনী , নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের মন্দির, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রংপুরে তারাই হামলা চালিয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যর্থ বিএনপি দেশটাকে আফগানিস্থান বানাতে চায়। এর জন্য সব সময় তারা দেশে ষড়যন্ত্র করে। তারা কখনো দেশের মানুষের কথা ভাবে না, দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা দেশে অগ্নি সন্ত্রাস করে বেড়ায়। তাদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কথা স্বরণ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সেদিন খুনি মোশতাক জিয়ারা যে জঘন্যতম কাজ করেছে তা ইতিহাসের পাতায় হয়ে থাকবে। তারা সেদিন ইতিহাসের জঘন্যতম রাজনীতি করেছে। তারা সেদিন জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। শুধু জাতির পিতা হত্যা করে তারা বসে থাকেনি তারা সে দিন শিশু, নারী ও অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। খুনি মোশতাক জিয়ারা দেশের ইতিহাসকে সেদিন কলঙ্কিত করেছে।
আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি বলেন, শহীদ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ পেতো একজন পরিপূর্ণ মানুষ, পরিপূর্ণ নেতা।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা খুনি জিয়া আইনত বৈধতা দিয়েছিলো। তারা অসত্য, কাল্পনিক তথ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যাকে রাজনৈতিক বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। তারা জাতির পিতার সন্তানদের নিয়ে কল্পকাহিনি ছড়িয়ে চরিত্র হননের চেষ্টা করেছিলো।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আজ বিএনপি জামাতের পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেষ্টা করছে। যারা এর সাথে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। যদি আমদের দলে কোন অনুপ্রবেশকারীও থাকে তাদের বহিষ্কার করা হবে, তাদের কঠোর বিচার হবে।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগ সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, গাজী জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহ দপ্তর সম্পাদক শওকত হোসেন সানু প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন