খুলনার নগরীর দৌলতপুর থানাধীন পাবলা কেশবলাল রোডে আলোচিত অনুপ দাশ হত্যা মামলায় সকল আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে এ হত্যাকান্ডের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আদালত এ রায় ঘোষণা দেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, দেয়ানা পূর্বপাড়ার মো: সোবহান শেখের ছেলে রিপন ওরফে এ্যালকো রিপন, একই এলাকার মো: বাবর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম ওরফে কামু, পাবলা হুজি বাড়ির মো: জামাল হুজির ছেলে মো: পাপ্পু, দেয়ানা পূর্বপাড়া হিমুর বাড়ির ভাড়াটিয়া মো: দুলাল মোল্লার ছেলে মো: রায়হান মোল্লা, একই এলাকার বাউন্ডারী রোড চুনুর বটতলার এসকেন শেখের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রকি, দেয়ানা পূর্বপাড়ার মৃত মোদাচ্ছের আলী ওরফে মধুর ছেলে শেখ মিজানুর রহমান মিজা, খালিশপুর থানার কাশিপুর এলাকার শাহাবুদ্দিন গাজীর ছেলে সোহাগ গাজী, দেয়ানা মোল্লাপাড়ার বাবু মোল্লার বাড়ির পাশে মো: মঈন মোল্লার ছেলে সবুজ ওরফে ডুবার, দেয়ানা পূর্বপাড়ার নজরুল ইসলামের বাড়ির কেয়ারটেকার হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অনুপ দাশ পাবলা তিন দোকানের মোড় কাহারপাড়ার সাধন চন্দ্র দাসের ছেলে। ২০১৭ সালের ২০ মে বিকেল ৫ টার দিকে দৌলতপুর বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। গভীর রাত পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে না পেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে নিহতের পিতা লোক মারফত জানতে পারেন দৌলতপুর থানাধীন পাবলা কেশবলাল রোডের জনৈক প্রফেসর আব্দুর রশিদের বাড়ির সামনে অনুপের ক্ষত বিক্ষত লাশ পড়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন নিহতের পিতা। এ ব্যাপারে তিনি ২১ মে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন, যার নং ২০।
২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ মোশারেফ হোসেন আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অপর আসামি তুফান শেখ ওরফে ড্যান্ডি তুফান ওরফে মেহেদী হাসান তুষার কিশোর হওয়ার তার বিচারিক কার্যক্রম শিশু আদালতে রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফ মাহমুদ লিটন জানান, বাদী পক্ষ স্বাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ জানান, আসামি সবুজ ওরফে ডুবার এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্রের শিকার। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে জোর পূর্বক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ অন্যদের এ মামলায় আসামি করে হয়রানি করেছে। তাছাড়া যে ইজিবাইকে করে অনুপকে হত্যা করা হয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থিত করতে পারেনি। আদালতের রায়ে তিনি খুব খুশি।
রায় ঘোষণা শেষে আসামিরা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন